লালগ্রহও কি দখল করবে লাল ফৌজ, পৃথিবীর পর মহাকাশ দমনের পরিকল্পনা করছে বেজিং

লালগ্রহেও কি পা পড়তে চলেছে লাল ফৌজের

মঙ্গলে ত্রিবিধ অভিযান চালাতে চলেছে চিন

যা এখনও পর্যন্ত বিশ্বের আর কোনও দেশ করে দেখাতে পারেনি

তবে বিষয়টি এখনও চিন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি

 

amartya lahiri | Published : Jun 26, 2020 5:54 PM IST / Updated: Jun 27 2020, 12:29 AM IST

ভারত-সহ নেপাল, তাইওয়ান, হংকং, ভিয়েতনাম, আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ বা দক্ষিণ চিন সাগরেই শুধু নয়, বেজিং এবার পরিকল্পনা করছে মহাকাশ দখলেরও। নাসার পার্সিভেরান্স রোভারের অভিযানের ঘোষণার পর, চিনও তাদের প্রথম স্বাধীন মঙ্গল গ্রহ অভিযানের কথা ঘোষণা করল। যে অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে 'তিয়ানওয়েন -১'। তিয়ানওয়েন কথার আক্ষরিক অর্থ হল 'স্বর্গীয় সত্যের সন্ধান'।

মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, চিন যদি এই অভিযানে সফল হয়, তাহলে চিন মহাকাশ অভিযানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া বা ভারতকে ছাপিয়ে এক নম্বর দেশ হয়ে উঠবে। কারণ এই অভিযানে চিন যে শুধু মঙ্গলের কক্ষপথে একটি অরবাইটার পাঠাচ্ছে তাই নয়, এই অভিযানে পাঠানো হবে একটি রোভার এবং একটি ল্যান্ডারও। এখনও অবধি এই ত্রিবিধ অভিযানে সফল হয়নি বিশ্বের কোনও দেশই।

মঙ্গলে অবতরণ করা এখনও অবধি পৃথিবী থেকে হওয়া মহাকাশ অভিযানে সবচেয়ে কঠিন বিষয় হিসাবে বিবেচিত হয়। চলতি বছরের জুলাই মাসেই চিনের এই অভিযান শুরুর কথা। এখনও অবধি মোট মঙ্গলে পৃথিবী থেকে মোট আঠারোটি অভিযান হয়েছে। সবগুলিই ক্ষেত্রেই হয় কোনও ল্যান্ডার ছিল কিংবা পাঠানো হয়েছিল রোভার। তবে এরমধ্যে মাত্র দশটি অভিযানই সফল হয়েছে। এই দশটির মধ্য়ে নয়টিই মার্কিন সংস্থা নাসার, আর অপর সফল অভিযানটি করেছে ভারতের ইসরো।

এর আগে, চিন বেশ চাঁদে বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়েছে। চাঁদের অন্ধকার দিকে একটি চিনা রোভার অবতরণ করেছে। শুধু চন্দ্রাভিযানই নয়, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মহাকাশে মানুষ পাঠানো থেকে শুরু করে নিজস্ব স্পেস স্টেশন তৈরির কাজ চালানো -এইরকম বিবিধ কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তারা একটি মহাকাশ শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তবে মঙ্গল গ্রহে এর আগে তারা একটিই অভিযান চালিয়েছিল। ২০১১ সালে, মঙ্গলের উপগ্রহ ফোবোস-এ তারা একটি অরবাইটার পাঠিয়েছিল। তবে সেই অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল। চিন মহাকাশযান মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল।

চিনের বর্তমান মঙ্গল অভিযানে কাজ করা বিজ্ঞানীরা অবশ্য এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তাঁরা জানিয়েছেন চিনা ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা সিএনএসএ এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাঁদের কথা বলতে নিষেধ করেছে। মনে করা হচ্ছে এই অভইযান নিয়ে যাতে বড় প্রত্যাশা তৈরি না হয়, তার জন্যই চিন এই বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করছে। প্রত্যাশার বেলুন ফুলে ওঠার পর অভিযান সফল না হলে তাদের মুখ পুড়বে। লাল গ্রহে পৌঁছনোর দৌড়ে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-কে ধরার লক্ষ্যে চিন এক অভিযানেই প্রদক্ষিণ, অবতরণ এবং মঙ্গলপৃষ্ঠে ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা সফল করার লক্ষ্যে নামছে।

 

Share this article
click me!