মঙ্গল গ্রহের বুকে চিনের 'আগুন দেবতা', মিলবে কি স্বর্গীয় প্রশ্নাবলীর জবাব

মঙ্গলের বুকে নেমে গেল চিনের আগুন দেবতা

৯৩ দিন ধরে চলবে সর্গীয় প্রশ্নের উত্তরের খোঁজ

দ্বিতীয় দেশ হিসাবে লাল গ্রহে নামল চিনা রোভার

এর আগে একমাত্র আমেরিকা এই সাফল্য পেয়েছিল

মঙ্গল অভিযানে সফল হল চিন। বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসাবে তারা লাল গ্রহে রোভার অবতরণ করালো। চিনের মহাকাশ গবেষকরা এখনও সরকারিভাবে ঠিক কখন এবং কোথায় মঙ্গলের মাটি ছুঁয়েছে তারা, তা জানায়নি। তবে সূত্র মতে, চিনের স্থানীয় সময় অনুসারে শুক্রবার (১৪ মে) সন্ধ্যা ৭ টা বেজে ১১ মিনিট নাগাদ তারা লাল গ্রহে পৌঁছেছে। চিনের এই আন্তগ্রহ মহাকাশ অভিযানটির নাম দেওয়া হয়েছে তিয়ানওয়েন-১। 'তিয়ানওয়েন' কথার অর্থ হল 'স্বর্গ সম্পর্কিত প্রশ্নাবলী'।

২০২০ সাালের জুলাইয়ে 'লং মার্চ ৫'  রকেটের মাধ্যমে এই স্বর্গ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বেড়িয়েছিল চিন। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তাদের মহাকাশযান পৌঁছে গিয়েছিল মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে। তারপর তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করার পর, তিয়ানওয়েন-১ ল্যান্ডার এবং রোভার, কক্ষপথে থাকা অরবাইটর-এর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অবতরণ শুরু করেছিল। ল্যান্ডার এবং রোভার মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর, মহাকাশযানটি সাত মিনিট লেগেছে মঙ্গল গ্রহে সফট ল্যান্ডিং-এর জন্য।

Latest Videos

এই সাত মিনিটকে বিজ্ঞানীরা 'সন্ত্রাসের সাত মিনিট' বলে থাকেন। কারণ বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরই তীব্র তাপে একেবারে জ্বলতে থাকে মহাকাশযানগুলি। এই তাপ থেকে চিনা মহাকাশযানটিকে রক্ষা করেছে একটি হিট শিল্ড। এর পরে প্যারাসুটের মাধ্যমে গতি কমানো হয়। অবকরণের শেষ কয়েক সেকেন্ডের সময় গতি আরও কমাতে কিছু ছোট আকারের নিম্নমুখী রকেট ইঞ্জিন চালানো হয়েছে। চিন ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা সিএনএসএ (CNSA) এখনও এই বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু না জানালেও, চিনের সরকারি টেলিভিশন, চিন গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বা সিজিটিএন (CGTN)-এ এই সফল অভিযানের কথা জানানো হয়েছে। ম্যাকাও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিয়ানের সাফল্যের কথা ঘোষণা করেছেন।

চিনা পুরাণ অনুযায়ী আগুনের দেবতার নাম ঝুরং, আর সেই নামই দেওয়া হয়েছে চিনের মার্স রোভার-টিরও।  ল্যান্ডারের থেকে বেরিয়ে র‌্যাম্প বেয়ে নেমে আসবে ৬ চাকা বিশিষ্ট এই রোভার। পরের ৯০টি মঙ্গল দিন (পৃথিবীর হিসাবে প্রায় ৯৩ দিন) মঙ্গল গ্রহের বুকে গবেষণা চালাবে, জলের অনুসন্ধান করবে। রোভারটি অবতরণ করবে মঙ্গল গ্রহের 'ইউটোপিয়া প্লানিসিয়া' অংশে। বিজ্ঞানীকরা মনে করেন, এই অঞ্চলের ভূপৃষ্ঠের নীচে বিস্তৃত পরিমাণে ডমাট বরফের আকারে জল রয়েছে। ঝুরং রোভারে দুটি প্যানারোমিক ক্যামেরা, একটি স্থল-প্রবেশকারী ব়্যাডার এবং একটি চৌম্বকীয় ক্ষেত্র সনাক্তকারী সেন্সর-সহ মোট ছয়টি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের যন্ত্র রয়েছে। এটিতে একটি লেজার রয়েছে যা, প্রস্তরখণ্ডে আঘাত করে তাদের গঠন অধ্যয়ন করতে পারে। এছাড়া, মঙ্গল গ্রহের জলবায়ু এবং আবহাওয়া অধ্যয়নও করবে ওই রোভার।

Share this article
click me!

Latest Videos

'জঙ্গিরা ধরা তো পড়ছে, তাহলে আর চিন্তার কি আছে?' হাসতে হাসতে উত্তর রচনার | Rachna Banerjee News
Suvendu Adhikari Live : বিধানসভার বাইরে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী, সরাসরি | Bangla News
'মমতা পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি রোহিঙ্গা ঢুকিয়েছে', বিস্ফোরক মন্তব্য Suvendu Adhikari-র
'তৃণমূলের শান্তির ছেলেরা প্রমাণ লোপাট করেছে' | Suvendu Adhikari | #shorts #suvenduadhikari #rgkar
এ যেন লুকোচুরি খেলা! ক্ষণে ক্ষণে স্থান পরিবর্তন, এখনও অধরা বাঘিনী যমুনা | Jhargram Tiger News