ইউহান প্রদেশ সহ গোটা চিন করোনা ভাইরাসের জেরে রীতিমতো স্তব্ধ। দেশের বহু এলাকায় মানুষ গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন । এই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪১ জন মারা গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের বেশি। ইউহানের রাজধানী হুবেই শহরে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ইউহানের রাজধানী সহ ১০টি শহরে ভ্রমণের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চিনা সরকার।
এদিকে ভাইরাস সংক্রমিত শহরগুলিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় চার কোটিরও বেশি মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। তবে চিন যেভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মোকাবিলায় নেমেছে তাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশংসা পাচ্ছে।
লুনার নিউ ইয়ার চিনের অন্যতম প্রধান উৎসব। ঘটা করে পালন করা হয় এই উৎসব। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে এই উৎসব। তবে এবছর করনা ভাইরাসের কারণে পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে মানুষ বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। বন্ধ দোকানপাট, স্কুল, কলেজ। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ইউহান সেন্ট্রাল সিটিতে ১০ দিনের মধ্যে নতুন হাসপাতাল বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। তার কাজ চলছে জোর কদমে। ৩ ফেব্রুয়ারি নতুন হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। হাসপাতালের আয়তন হচ্ছে ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার। তাতে একইসঙ্গে হাজার রোগীর চিকিৎসা হতে পারবে।
দেশজুড়ে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবত যে নববর্ষে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিখ্যাত চিনের প্রাচীরের একাংশ। বেজিংয়ের বার্ডস নেস্ট স্টেডিয়ামও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে মিং রাজবংশের সমাধি। বন্ধ ইনশান প্যাগোডা ও সাংহাইয়ের ডিজনিল্যান্ডও।
এদিকে, চিনের ইউহান ও শেনঝান প্রদেশে প্রথম বিদেশি হিসেবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ বছরের এক প্রবাসী ভারতীয় শিক্ষিকা। কেরালার ৭ জন, মুম্বইয়ের ২ জন এবং ব্যাঙ্গালোর এবং হায়দরাবাদের ১ জন ভাইরাসে আক্রান্ত। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। গত শুক্রবার থেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হন শেনঝানের একটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক প্রীতি মাহেশ্বরী । তিনি মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সেই রোগেরই চিকিত্সা চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা। তবে তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ভারতীয় মূল্যে এক কোটি টাকা।