Omicron Variant: ওমিক্রন বাড়লেও, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়েনি:দক্ষিণ আফ্রিকা

Published : Dec 05, 2021, 11:15 PM IST
Omicron Variant: ওমিক্রন বাড়লেও, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়েনি:দক্ষিণ আফ্রিকা

সংক্ষিপ্ত

প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার দাবি দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, সেখানে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। রবিবার সাংবাদিকদের সিরিল জানান, দেশ জুড়ে বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা।

দক্ষিণ আফ্রিকাতে(South Africa) ছড়াচ্ছে করোনার(COVID-19 cases) নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন(Omicron surge)। তবে সেদেশের প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার (Cyril Ramaphosa) দাবি দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, সেখানে হাসপাতালে রোগীর (Hospital admissions) সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। রবিবার সাংবাদিকদের সিরিল জানান, দেশ জুড়ে বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। 

দক্ষিণ আফ্রিকার আউটলেট আই উইটনেস নিউজের উদ্ধৃতি অনুসারে, রামাফোসা সাংবাদিকদের বলেছেন, "আমাদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে না যার অর্থ হল পজেটিভ হচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না। বর্তমানে ঘানা সফরে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি। তাঁর দাবি ওমিক্রন ততটাও ভয়াবহ নয়। ফলে সংক্রমিত হলেও মানুষ সেরে উঠছেন দ্রুত। 

এদিকে, ব্রিটেনের ওয়েলকাম ট্রাস্টের প্রাক্তন সায়েন্টেফিক অ্যাডভাইসর ও ডিরেক্টর জেরেমি ফারার জানাচ্ছেন মনে করা হয়েছিল করোনা মহামারী হয়ত শেষের পথে। কিন্তু নিত্য নতুন ভেরিয়েন্ট প্রমাণ করেছে মানুষের এই ধারণা ভুল প্রমাণ করছে ওমিক্রনের মতো করোনার ভেরিয়ান্ট।  

এই বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন ভ্যাকসিনের সীমিত ব্যবহার বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রমণকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। মানুষকে আরও সতর্ক হতে হবে। কারণ করোনার এক একটি ভেরিয়েন্ট এক এক রকমের উপসর্গ নিয়ে আসছে। তবে করোনা ভ্যাকসিন এই ভেরিয়েন্টগুলি থেকে যে পুরোপুরি রক্ষা করতে পারবে, এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়ে ছিল একই কথা। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়ে ছিলেন, ভাইরাসটির নতুন নতুন রূপের সূচনা হচ্ছে। গোটা ইউরোপ শীতের মরশুমে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে। তাতে দেশগুলি অনেকটাই সফল হয়েছে। নিরাপজ ও কার্যকর ভ্যাকসিনও হাতে রয়েছে। কোভিড মোকাবিলায় নতুন চিকিৎসা ব্যবস্থারও সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু ভ্যাকসিনের বৈষম্য সবকিছুই বদলে দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন তিনি। সাবধানতা আর টিকাকরণেই পারে কোভিড মহামারির হাত থেকে দ্রুত নিষ্কৃতি দিতে বলে জানিয়েছিল হু। 

গবেষকদের দাবি আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে গোটা বিশ্বই করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এটি আগেও করা যেত । 'কিন্তু বিশ্ববাসীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।' তাঁরা আরও বলেছেন টিকা আবিষ্কারের পর থেকে এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ৭.৫ বিলিয়লেরও বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর জুনের মধ্যে ২৪ বিলিয়ন টিকার ডোজ তৈরি হবে। যা গোটা বিশ্বের মানুষকে টিকা দিতে যথেষ্ট। কিন্তু এখনও বিশ্বের একটা বিশেষ অংশ টিকা পায়নি। যা নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। দরিদ্র দেশগুলিতে টিকার মারাত্মক অভাব রয়েছে। সেখানে দ্রুত টিকা কর্মসূচি চালু করা গেলেই বিশ্ব করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবে। 

PREV
click me!

Recommended Stories

বিস্ফোরক বা মাদক আছে বলে সন্দেহ, লন্ডনে মহসিন নকভির গাড়ি তল্লাশি পুলিশের
LIVE NEWS UPDATE: 'ক্রিকেটের চেয়ে অন্য কোনও কিছুকে বেশি ভালোবাসি না,' বার্তা স্মৃতি মন্ধানার