সোমবার আদালতে বিচার চলাকালীনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মিশরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোরসি। ৬৭ বছরের মোরসির বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির মামলা চলছিল। আদালতে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী এদিন প্রায় ২০ মিনিট ধরে বিচারকের সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করেন তিনি। শেষের দিকে হঠাৎ ছটফট করতে করতে জ্ঞান হারান। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেথানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর আগে ৩০ বছর ধরে একটানা মিশরের প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন হোসনি মুবারক। ২০১১ সালে আরব বসন্তের ফলে ক্ষমতা হারান তিনি। ২০১২ সালে দেশের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন মহম্মদ মোরসি। কিন্তু বেশিদিন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেননি। ২০১৩ সালে গণ ও সেনা অভ্যুত্থানে পদ খোয়ান তিনি। সেই থেকে কারাগারের অন্তরালেই ছিলেন।
তিনি ছিলেন মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের মতোই মিশরেও বর্তমানে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথমে মিশরের আদালত মোরসি-সহ তাঁর সহযোগীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। কাউকে কাউকে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। প্যালেস্টাইনের হামাস গোষ্ঠির সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগের অভিযোগ ছিল। তবে ২০১৬ সালে আদালত আগের রায় বাতিল করে নতুন করে শুনানি শুরু করে। এদিনও তার কাজই চলছিল। মোরসির মৃত্যুর পরক আপাতত মামলার কাজ মুলতুবি রাখা হয়েছে।