৫৩ বছরের ছোট মহিলা সাংসদের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন ইতালির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনি। বিয়েতে বাধ সাধল ৪১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্যাঁচ।
কথায় বলে ভালবাসা কোনও ফারাক মানে না। বয়স, পয়সার জোর, ভাষা, সামাজিক অবস্থান - প্রেম কিছুই দেখে না, একমাত্র মন ছাড়া। কখন, কোথায়, কাকে দেখে হৃদয় গলে যাবে, তা কেউ বলতে পারে না। এমনই এক ঘটনা ঘটল ইতালিতে। দেশের এক বর্তমান মহিলা সাংসদের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন সেই দেশের এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। দুজনের বয়সের ফারাক ৫৩ বছর! তবে, এরমধ্যে অবশ্য বাধ সেধেছে ৪১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এক প্যাঁচ।
৫৩ বছরের ছোট মহিলাকে বিয়ে করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী!
ইতালির ওই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাম, সিলভিও বারলুসকোনি। বর্তমানে তাঁর বয়স ৮৫ বছর। প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী যাঁকে বিয়ে করলেন, সেই মহিলৈার বয়স মাত্র ৩২ বছর। তিনি আর কেউ নন, ইতালির বর্তমান সাংসদ মার্তা ফাসিনা।
যুবককে ছেড়ে বুড়োর প্রেমে
প্রসঙ্গত, এটি মার্তা ফ্যাসিনার দ্বিতীয় সম্পর্ক। এর আগে তিনি ফ্রান্সেসকা পাস্কাল নামে, সমবয়সী এক যুবকের সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু, ২০২০ সালে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর, তিনি তাঁর থেকে বয়সে ৫৩ বছরের বড়, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বারলুসকোনির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
বাবার বিয়েতে খুশি নয় ছেলেমেয়েরা
ইতালির সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিলভিও বার্লুসকোনি এবং মার্তা ফাসিনা এখনও সত্যিকারের বিয়ে করেননি। আগের সম্পর্ক থেকে বার্লুসকোনির পাঁচ সন্তান রয়েছে। তাঁরা এই বিয়েতে একেবারেই খুশি নন। তাদের জবাব দিতেই, এখনও সত্যিকারের বিয়ে না করলেও, ফ্যাসিনার সঙ্গে প্রতীকী বিয়ে সেরে ফেলেছেন তিনি। মিলানের লেসমো শহরের একটি ল্যান্ডমার্ক ভিলা গার্নেটোতে অনুষ্ঠানটি হয়েছিল।
৪১৭ বিলিয়ন ডলারের প্যাঁচ
বার্লুসকোনির এই বিয়েতে তাঁর ছেয়েমেয়েদের আপত্তির পিছনে রয়েছে বিপুল অর্থের খেলা। তাঁদের আশঙ্কা, বাবা যদি শেষ পর্যন্ত সত্যি-সত্যিই ফাসিনাকে বিয়ে করেন, তাহলে বার্লুসকোনির মোট সম্পদের অর্ধেকের মালিক হবেন ফাসিনা। যার মূল্য প্রায় ৪১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বার্লুসকোনি ও তাঁর দুর্বল চরিত্র
তরুণ ফাসিনার প্রতি বার্লুসকোনির আগ্রহ দেখে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ, তরুণ মডেল, যৌনকর্মীদের সঙ্গে বারবার তাঁর নাম জড়িয়েছে। সম্প্রতি যৌন পরিষেবার বিনিময়ে মরক্কোর যৌনকর্মী কারিমা এল মাহরুজকে ৫০ কোটি টাকা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু তা প্রমাণ করা যায়নি। এর পাশাপাশি নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগও রয়েছে। শোনা যায়, সেই মামলায় অর্থ দিয়ে সাক্ষীর মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে তরুণীর সাংসদের সঙ্গে প্রতীকি বিয়ে করে ফের আলোচনায় এসেছেন ৮৫ বছরের এই প্রাক্তন ইতালীয় প্রধানমন্ত্রী।