করোনা ভাইরাস চিনে প্রাণ কাড়ল আরও একজনের, সতর্ক হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশও

Published : Jan 21, 2020, 11:35 AM ISTUpdated : Jan 21, 2020, 11:38 AM IST
করোনা ভাইরাস চিনে প্রাণ কাড়ল আরও একজনের, সতর্ক হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশও

সংক্ষিপ্ত

চিনে করোনা ভাইরাসে ফের মৃত্যু বেইজিং-সাংহাই ছাড়াও গুয়াংডঙে আক্রান্ত বহু থাইল্যান্ড ও জাপানেও সংক্রমণ আতঙ্ক ছড়িয়েছে  ভারত ও বাংলাদেশও

'নিউমোনিয়া'র বৈশিষ্ট্য যুক্ত করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ নতুন সংস্করণের উৎপত্তি ঘটেছে চিনে। এই ভাইরাস একজনের শরীর থেকে আর একজনের শীরের মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ছে। শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে ঘুরছে জীবাণু। এই ভাইরাসের প্রকোপের কথা সোমবারই স্বীকার করে নিয়েছেন চিনের হেলথ কমিশন। এর মধ্যেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিনে  মৃ্ত্যু হল আরও এক ব্যক্তির। এই নিয়ে সেদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪। ৮৯ বছরের  নিহত ব্যক্তি ইয়ুহান প্রদেশের বাসিন্দা। 

ভাইরাসটিতে চিনের বিভিন্ন প্রান্তে ২০০ বেশি মানুষ আক্রান্ত বলে জানা যাচ্ছে। বেইজিং-সাংহাই ছাড়াও গুয়াংডঙ প্রদেশেও ভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান পেয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। ভাইরাসটি মানব শরীরের মাধ্যমেই সংক্রমিত হচ্ছে বলেও জানান তারা। 

আরও পড়ুন: টেক্সটাইল মার্কেটে বিধ্বংসী আগুন, ধোঁয়ায় ঢাকল সুরাত, ঘটনাস্থলে দমকলের ৬০টি ইঞ্জিন

চিনে গত ডিসেম্বর থেকেই চিনেত নতুন এই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। নতুন এই ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরণের সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। এছাড়াও নাক, সাইনাস ও গলার উপরিভাগে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। চিনের পাশাপাশি  এই ভাইরাস এশিয়ার আরও তিনটি দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা  দেখা দিয়েছে।সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে থাইল্যান্ড ও জাপানেও।

চিনের এই করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে ভারত ও বাংলাদেশও। এই দুই দেশে এখনও সংক্রমণের কোনও খবর পাোয়া না গেলেও ইতিমধ্যে সতর্কতা নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দেরই সতর্কতামূলক সমস্ত পদক্ষের গ্রহমের জন্য সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: দিল্লি নির্বাচনে বেকায়দায় পদ্ম শিবির, জোট হল না পুরনো সঙ্গীর সঙ্গে, কেজরির বিরুদ্ধে প্রার্থী যুব মোর্চার সভাপতি

বাংলাদেশের মত ভারতীয় বিমানবন্দরগুলিতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মূলক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের ভালো করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে। চিন থেকে আসা যাত্রীদের জন্য থার্মাল স্ক্রিনংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিন সফরে যাওয়া ভারতীয়দের জন্য নির্দেশিকা রয়েছে। 

২০০২-২০০৩ সালে সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্সের সংক্রমণে দুনিয়াজুড়ে প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার পিছনেও ছিল করোনাভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এই সংস্করণ সেই আগের করোনাভাইরাসেরই জ্ঞাতি।

PREV
click me!

Recommended Stories

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ২০ জন
পৃথক সিন্ধুদেশ গঠনের দাবিতে উঠল স্লোগান, ঘরে-বাইরে চাপে শাহবাজ সরকার