২০১৬ সালের পর আবারও জেগে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি
শুরু হয়েছে মাউন্ট সিনাবাং এর অগ্নুপ্যাত
সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়ছে স্থানীয়দের
গোটা এলাকায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা
২০১৬ সালে পর আবারও জেগে উঠল ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সিনাবাং আগ্নেয়গিরি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় গত সপ্তাহের শেষ থেকেই হয়েছে অগ্নুপ্যাত। আর বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে স্থানীয় গ্রামগুলি। আগ্নেয়গিরি থেকে গলগল করে ধোঁয়া বার হচ্ছিল। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত ধোঁয়া আর ছাইয়ে ছেয়ে গেছে আকাশ।
দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় সক্রিয় রয়েছে একাধিক আগ্নেয়গিরি। তবে তার মধ্যে সবথেকে ভয়ঙ্কর মাউন্ট সিনাবাং। উত্তর সুমাত্রার কারো উপত্যকায় লেক টোবা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই আগ্নেয়গিরি। ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসন আগ্নগিরি সংলগ্ন এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিস্তীর্ণ এলাকায় জারি করা হয়েছে লালসর্কতা।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে প্রায় ৮ থেকে ৭০ ফুট উঁচু এই আগ্নেয়গিরি থেকে এখনও মাঝে মাঝে বিস্ফোরণ হচ্ছে। প্রবল বেগে গ্যাস আর ছাই উদগীরণ করছে।
ইন্দোনেশিয়ার ভলক্যানোলজি অ্যান্ড জিওলজিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন সেন্টারের আধিকারিক আরমান পুটেরা বলেছেন কিছুদিন আগেই এই আগ্নয়গিরি জেগে উঠেতে শুরু করেছে। কিন্তু ক্রমেই তা ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে। আগ্নয়গিরি সংলগ্ন এলাকা নো গো জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায় মাউন্ট সিনাবাং আগ্নেয়গিরির ছবি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন আবারও জেগে উঠেছে মাউন্ট সিনাবাং। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই গোটা আকাশ ঢেকে গেছে ছাই আর কালো ধোঁয়ায়।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছেন, এই আগ্নেয়গিরিটি প্রাথম জেগে উঠেছিল ১৯১২ সালে। ২০১০ সালের অগাস্টেও এই আগ্নেয়গিরিটি প্রবলভাবে তাণ্ডব চালিয়েছিল। লাভার স্রোতে ঢেকে গিয়েছিল অনেকটা এলাকা। এই বছরই সেপ্টেম্বর আর অক্টোবরেই বিস্ফোরণ ঘটে। ২০১৩ আর ১৪ সালে আবারও বিস্ফোরণ ঘটে। তবে ২০১৬ সালে আবারও বিস্ফোরণ হয়। সেই সময় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছিল ১৮ হাজার স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিন্তু তারপর থেকে মোটামুটি শান্ত ছিল মাউন্ট সিনাবাং । কিন্তু গত সপ্তাহ থেকেই আবারও তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে এই আগ্নেয়গিরি।