পূর্ব লাদাখ সেক্টরে এপ্রিল মাস থেকে শুরু হওয়া সীমান্ত উত্তাপ এখনও অব্যহত। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ইতিমধ্যেই ভারত ও চিন কূটনৈতিক আর সামরিক স্তরে একাধিকবার বৈঠক করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে চিন আবারও নতুন করে পরিকাঠামো নির্মান করে বলে ভারতীয় সেনা বাহিনী সূত্রে খরব। বেশ কয়েকটি জায়গা সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বলেও জানিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান পুরো বিষয়টি তদারকি করছে জিনজিয়াংএর দায়িত্বপ্রাপ্ত চিনা সামরিক কর্তারা।
চিনা সেনার একাধিক পদক্ষেপে স্পষ্ট হচ্ছে যে শীতকালেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এলাকায় লাল ফৌজ মোতায়েন থাকবে। আপাতত লাদাখের ১৫৯৭ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে না চিন। ভারতীয় সেনা বাহিনী সূত্রে খবর প্রায় তিন লক্ষ বর্গফুট জুড়ে চলছে রাজসূয় যজ্ঞ। দখলীকৃত আকসাই চিনে প্রায় তিনটি ফুটবল মাঠের মত জায়গা নিয়ে চলছে পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ। গোগরা থেকে হটস্প্রিং এলাকায় চিনা সেনার তৎপরতা লক্ষ্য করেছে ভারতীয় জওয়ানরা। যে এলাকায় নির্মাণ কাজ চলছে সেই এলাকাটি ভারতীয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ভারতের অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা প্রধানের মত আকসাই চিনে দ্রুতার সঙ্গে নির্মাণ কাজ করছে চিন। বেজিং ওই এলাকায় আর্টিলারি, রকেট রেজিমেন্ট এবং ট্যাঙ্ক ব্য়বহারের পাকা বন্দোবস্ত করতে চাইছে। গোয়েন্দাদের একাংশ মনে করেছে এই এলাকায় একটি সেনা হাসপাতালও তৈরি করার কাজ চলছে। কারণ লাদাখে উচ্চতর এলাকায় মোতায়েন থাকা সৈন্যদের দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা দিতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
লাদাখে ধৃত চিনা সেনাকে নিয়ে জল্পনা এখনও তুঙ্গে, তার কাছ থেকে কী কী পাওয়া গেছে জেনে নিন ...
করোনা বিশ্বে আশার আলো দেখাচ্ছে কোভ্যাক্সিন, ভারতের প্রতিষেধকে আগ্রহ বাড়ছে বিদেশেও ...
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা থেকে চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের সামরিক ঘাঁটির দূরত্ব মাত্র ৮২ কিলোমিটার। জিনজিয়াং থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যন্ত সামরিক যান চলাচল সহজ করতেই আকসাই চিনে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। ভারতের দিক থেকে আকসাই চিনের পর্যন্ত এলাকার মধ্যে ৯২ কিলোমিটার দূরে পিপিলস লিবারেশন আর্মি একটি শিবির তৈরি করেছে। সেখান থেসে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম সলাদাখের ডেমচক ও তিব্বত সংলগ্ন এলাকায় পাঠান হচ্ছে। গোয়ান্দেদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্যালওয়ান আর কাংকালা এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা থেকে মাত্র ৮-২০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করেছে লাল ফৌজ। চিনার সেনার এই তৎপরতা শুরু পূর্ব লাদাখ সেক্টরেই সীমাবদ্ধ নয়। অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তেও রীতিমত তৎপর বলেও ভারতীয় সেনা বাহিনী সূত্রে খবর।