দেশের জন্য চরম লজ্জার খবর। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্রীর কারাদন্ডের আদেশ দিল আদালত। প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলায় নাম জড়িয়ে সাত বছরের জন্য শ্রীঘরে থাকতে হবে ৫৬ বছর বয়েসী ওই মহিলাকে। তার বিরুদ্ধে ষাট লক্ষ টাকার প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলা করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানের এক আদালত এই মামলায় ওই মহিলার সাত বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন - আকাশ কালো করে নামবে ঝেঁপে বৃষ্টি, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি শুরু দক্ষিণবঙ্গে
সোমবার আশিস লতা রামগোবিন্দ নামের ওই মহিলার সাজা শোনায় ডারবান আদালত। এস আর মহারাজ নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে ৬.২ মিলিয়ন অর্থ নেয়। ভারত থেকে মাল রফতানির নামে ওই টাকা নেয় রামগোবিন। অথচ কোনও দ্রব্য রফতানি করা হয়নি বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য লতা রামগোবিন্দ মানবাধিকার কর্মী এলা গান্ধী ও প্রয়াত মেওয়া রামগোবিন্দের কন্যা। তাকে সাজার আদেশ শোনায় ডারবান স্পেশালাইজড কমার্শিয়াল ক্রাইম কোর্ট।
উল্লেখ্য এই মামলার শুরু হয় ২০১৫ সালে। তখন প্রাথমিক শুনানির পর স্থানীয় মুদ্রায় ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে জামিন পান লতা রামগোবিন্দ। সোমবার ফের মামলার শুনানি হয়। সেখানে সব তথ্য প্রমাণই লতার বিরুদ্ধে পেশ করা হয়। আদালতকে জানানো হয় লতা কোনও দ্রব্যই ভারত থেকে রফতানি করেননি, যার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ তিনি নিয়েছিলেন।
ভারত থেকে এস আর মহারাজের কোম্পানি লিনেনর মত কাপড় ও জুতো আমদানি রফতানির কাজ করে। কোম্পানির হয়ে তিনটি কন্টেনারে লিনেন কাপড় রফতানি করেচেন বলে লতা রামগোবিন্দ মহারাজকে জানান। অথচ কোনও দ্রব্যই রফতানি হয়নি বলে অভিযোগ।