করোনা ভাইরাস। নামটা শুনলেই প্রত্যেকেই যেন আতঙ্কিত। করোনা আতঙ্কে ইতিমধ্যেই ভয়ে কাঁপছে চিন। মুহূর্তের মধ্যে একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই রোগের জীবানু। কোনওভাবেই আটকানো যাচ্ছে না এই ভাইরাসকে। নোবেলা করোনা প্রকৃতির এই করোনা ভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি আসলে ফ্ল্যাবিও ভাইরাস, যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা।
আর ৬০০০ মানুষের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের বাহক হল মানুষ। মানুষের সংস্পর্শেই সংক্রমিত হচ্ছে এই করোনা ভাইরাস । দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যা নিশ্চিত করলেন চিনের চিকিৎসকরা। আর এই কারণেই চিন্তা বাড়ছে চিনা প্রশাসনের। এই রোগের সমাধান কবে বা কীসে মিলবে এই নিয়ে চিন্তিত চিন প্রশাসন। সংক্রমন এড়াতে সব রকমের তৎপরতা জারি হয়েছে। অধিকাংশ বিমানেই গরম খাবার,কম্বল দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। ব্যক্তির স্পর্শ থেকে যেভাবে রোগ ছড়াচ্ছে তা আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে ঢুকে পড়েছে করোনা ভাইরাস, আতঙ্কে ভয়ে প্রহর গুনছে দেশবাসী...
চিনা এয়ারলাইন্স ইতিমধ্যেই যাত্রীদের নিজস্ব বোতল আনার পরামর্শ দিয়েছেন। সমস্ত বিমানে খাবার দেওয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনকী টেবিল ক্লখ, ন্যাপকিনের মতো পুনর্ব্যবহার্য দ্রব্যের বদলে পেপার টাওয়েল যা একবার ব্যবহার্য তাই ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকী বালিশ, কম্বল, তোয়ালে, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্রও বন্ধ করা হয়েছে। হংকংয়ের বিমানবন্দরেও একই হাল। পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য থাইল্যান্ড। সেখানেও অনেকের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। যার ফলে পর্যটন ব্যবস্থাও জোর ধাক্কা খেয়েছে।