করোনাভাইরাস-উদ্বেগের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়ালো দৈত্যাকৃতি মশা, বরাভয় দিচ্ছেন পতঙ্গ বিশেষজ্ঞরা

পতঙ্গদের অনেকেই ভয় পান।

অনেক ভয়ের সিনেমাতেই এই ভয়কে কাজে লাগানো হয়েছে।

আর এই পতঙ্গগুলি যদি হয়ে ওঠে পেল্লায় আকারের।

সম্প্রতি এক দৈত্যাকৃতি মশাকে নিয়ে শোরগোল পড়েছে নেটপাড়ায়।

amartya lahiri | Published : Jan 28, 2020 4:16 PM IST

অনেকেই পতঙ্গদের ভয় পান। মশা, মাছি, মৌমাছি, বোলতা, ভীমরুল কিংবা পঙ্গপাল - উড়ে এসে হুল ফোটালেই বিষের জ্বালা। আর এই পতঙ্গগুলি যদি হয়ে ওঠে পেল্লায় আকারের। তখন ভয়ের মাত্রাটা যে অনেকদূর পৌঁছায় তা বলাই বাহুল্য। এই ভীতিকে কাজে লাগিয়ে অনেক হরর ফিল্ম বা ভয়ের সিনেমাতেই পাখির আকারের মশা, মাছি দেখানো হয়েছে। সম্প্রতি একটি বিশাল আকারের মশার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে মনে হতে পারে সরাসরি এই মুভিগুলির পর্দা থেকেই উঠে এসেছে।

গত সপ্তাহে, এই দৈত্যাকৃতি মশার ছবিটি সোশ্য়াল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন, আর্জেন্টিনার বাসিন্দা ইজিকিয়েল লোবো। তিনি সেখানকার কর্ডোবা শহরে থাকেন। মশাটি কত বড় তা বোঝাতে লোবো দৈত্যাকৃতি মশাটির পাশে একটি সাধারণ আকারের মশার ছবিও দিয়েছেন। সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'আমার জানলা দিয়ে একটু আগেই মশাটি প্রবেশ করেছিল। দেখুন সেটির আকার। এটা চ্যাম্পিয়নদের মতো এসেছিল। আমার মা আতঙ্কে মশার স্প্রে ছেটান। আমি অনলাইনে এর তুলনীয় কিছু খুঁজে পাইনি। হয় এটি চেরনোবিলের নতুন বিবর্তিত মশা অথবা আমি সবেমাত্র জানতে পেরেছি যে আমি 'জুমানজি'-তে রয়েছি'।

'জুমানজি' হলিউডের একটি বিখ্যাত ফিল্ম। এই ফিল্মেও বড় বড় আকারের কীট-পতঙ্গ দেখানো হয়েছিল। আবার অনেকেই মনে করেন চেরনোবিলে তেজস্ক্রিয়তার কারণে কীট পতঙ্গ থেকে পশুপাখির মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক বিবর্তন ঘটে। এই বিষয়েও ফিল্ম তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এটা কোনও সিনেমা নয় ঘোর বাস্তব। তাই স্বাভাবিকভাবেই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। 'লাইক' 'কমেন্ট' এবং শেয়ারের বন্যা বইছে।

নেটিজেনরা সবাই এই বিশাল আকাররে মশাটি দেখে হতবাক। অনেকেই বলেছেন এটা খুবই ভয়ঙ্কর। অনেকের মনে পড়েছে প্রাক-ঐতিহাসিক মশার কথা। কয়েকজন আবার মশাটিকে চিনে নিয়েছেন। জানিয়েছেন এর বিজ্ঞানসম্মত নাম 'সোরোফোরা সিলিয়াতে'। সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই মশা দেখা যায়। আবার কয়েকজনের দাবি এটা মশা নয়, 'রাবার ফ্লাই' বা 'রবার মশা'।

তবে, শেষকথা বলেছেন পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ মাইকেল এইচ রিসকিন্ড। তিনি জানিয়েছেন 'সোরোফোরা সিলিয়াতে' মশা সাধারণত বন্যার পর দেখা দেয়। তবে এদেরকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এটা ঠিক যে তাদের হুলে যে বিষ থাকে তা সাধারণ মশাদের থেকে কয়েকগুণ বেশি বিষাক্ত। কামড় ব্যাপক যন্ত্রনা হতে পারে। তবে মশার আসল ভয়, তাদের বহন করে আনা রোগ। সেইদিক থেকে এই দৈত্যাকৃতি মশা একেবারেই নিরিহ। কারণ এরা সাধারণত রোগজীবানু বহন করে না। কাজেই আকার দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

 

Share this article
click me!