ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, যারা চায় আর যারা এই দাবি জানিয়েছে তাদেরই যুদ্ধে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেছেন মধ্যপ্রাচ্য দেশ ও সিরিয়ান নাগরিকরাই রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করার আর্জি জানিয়েছে।
১৮ দিনে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine war)। রাশিয়ান হামলায় প্রায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। কিন্তু এখনই যে যুদ্ধে ইতিটানতে রাজি নন পুতিন (Putin) তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। শুক্রবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, সিয়ার ও মধ্যপ্রাচ্যের (Syria, Midle East) যোদ্ধাদের ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করার অনুমতি দেওয়া হবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেখানে স্বেচ্ছাসেবকদের পাঠানোর পরিকল্পনা সমর্থন করার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মস্কো।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, যারা চায় আর যারা এই দাবি জানিয়েছে তাদেরই যুদ্ধে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেছেন মধ্যপ্রাচ্য দেশ ও সিরিয়ান নাগরিকরাই রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করার আর্জি জানিয়েছে।
রাশিয়া-সিরিয়ার দীর্ঘ দিনের জোটসঙ্গী। ২০১৫ সালে সিরিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার আহে রাশিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আশার আল আসাদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছেন। পরবর্তীকালে যুদ্ধের জোয়ারকে শাসনের পক্ষে নিয়ে আসতেও রাশিয়া অনেকটাই সাহায্য করে।
পেসকভ বলেছেন ইউক্রেনে স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধা পাঠানো সিদ্ধান্ত গ্রহনযোগ্য ছিল। তিনি আরও বলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের কিয়েভের সেনা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করার জন্য ভাড়াটে সৈন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। তিনি পশ্চিমের দেশ বিশেষত আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পশ্চিমীরা যদি ভাড়াটে সৈন্য পাঠাতে পারে তাহলে রাশিয়াও স্বেচ্ছাসেবীদের যুদ্ধে ব্যবহার করার থেকে পিছিয়ে যাবে না।
ক্রেমলিন সূত্রের খবর, পুতিন শুক্রবারই স্বেচ্ছাসেবীদের যুদ্ধে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রায় ১৬০০০ সৈন্য রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে। যার মধ্যে অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্য ও সিরিয়ার যোদ্ধা। অবিলম্বেই তাদের ডেকে নেওয়া হবে।
অন্যদিকে রাশিয়ার তদন্ত কমিটি- এই জাতীয় অপরাধের তদন্ত করছে। রাশিয়ার দাবি আমেরিকা মেটার কর্মীদের দ্বারা রাশিয়ান নাগরিকদের হত্যার জন্য অবৈধ পোস্ট আর ফোনকলের তদন্ত শুরু করেছে। রাশিয়ার জেনারেল প্রসিকিউটার অফিসও জানিয়েছেন ইন্টারনেট জায়েন্ট সংস্থাটিকে চরমপন্থী হিসেবে রাশিয়ার চিহ্নিত করা হবে। আর প্রয়োজনে রুশ দেশের ইনস্টাগ্রাম ব্লক করে দেওয়া হতে পারে।
রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে দু সপ্তাহ অতিক্রম করেছে। তারই মধ্যে ইনস্টাগ্রাম ব্লক করার বার্তা দিয়েছে রুশ প্রশাসন। যুদ্ধ ইস্যুতে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই রাশিয়ার বিপক্ষে মত প্রকাশ করেছে। রাশিয়ানকে কোনঠাকা করতে একাধিক উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।