লোহার বাসর দিয়েও ঢুকে পড়ল কালনাগিনী। হাজার প্রতিরোধ সত্ত্বেও রোখা গেল না। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া গেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ। আরও বিস্ময়ের এই যে, আক্রান্ত ব্য়ক্তি না-চিন থেকে ফিরেছেন সম্প্রতি, না-কাউর সংস্পর্শে এসেছেন।
সম্প্রতি আমেরিকার স্বাস্থ্য় দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজনের খোঁজ পেয়েছে তারা। এটিই ওই দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ঘটনা। যা রীতিমতো অশনি সংকেত বলে মনে করছেন সেখানকার চিকিৎসক ও গবেষকরা।
ক্য়ালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ওই রোগীকে। তাঁর শরীরে করোনার সিরিয়াস কিছু উপসর্গ পাওয়া গিয়েছে। ওই রোগীকে ভেন্টলেশনে রাখা হয়েছে। সেখানকার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্য়ান্ড প্রিভেনশন থেকে বলা হচ্ছে, ওই রোগী যে সম্প্রতি চিন থেকে ঘুরে এসেছেন, এমনটা মনে হচ্ছে না। তাই আক্রান্ত কাউর ছোঁয়াচ ছাড়াই তাঁর দেহে কীভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে তা নিয়ে এখন রীতিমতো চিন্তিত সে দেশের স্বাস্থ্য় কর্তারা। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন বারেবারেই আশ্বাস দিয়েছিল, আমেরিকায় করোনাভাইরাস নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, মাসদুয়েক আগে চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল এই মারাত্মক ভাইরাস। মনে করা হচ্ছে, বাদুড়ের মাংস থেকেই ছড়িয়েছিল এই ভাইরাস। আবার এমন খবরও সামনে আসছে যে, জৈবরাসায়নিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্য়ে চিন নাকি এই ভাইরাসের চাষ শুরু করেছিল। তবে ঘটনা যাই হোক না কেন, তার পরিণতি মোটেও ভাল হয়নি। ইতিমধ্য়েই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিনে মৃতের সংখ্য়া দাঁড়িয়েছে দুহাজার। আক্রান্তের সংখ্য়া প্রায় আশি হাজারের কাছাকাছি। শুধু চিনেই নয়, জাপান, ভারত-সহ বিশ্বের অন্তত পঁচিশটি দেশে পাওয়া গিয়েছে এই ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ। বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত সন্দেহে অনেককেই আলাদা করে রাখা হয়েছে। চিনের উহানে আটকে পড়া পড়ুয়া-সহ ভারতীয়দের এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে করে এদেশে নিয়ে আসা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ থেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর এলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট থেকে কিন্তু এতদিন পর্যন্ত তেমন কোনও খবর আসেনি। এতদিনে সেখানে প্রথম একজন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল। যা আর নিশ্চিন্তে থাকতে দিল না সেদেশের মানুষকে।