ধর্ষণ, গর্ভপাত কিছুই বাদ যায় না কিমের রাজত্বে, শতাধিক মুক্তিপ্রাপ্ত মহিলার জানালেন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা

জেল বন্দি মহিলাদের ওপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার চলে 
ধর্ষণ, গর্ভপাতের মত ঘটনা নিত্যদিন সহ্য করতে হয়
মহিলাদের অভিযোগ খাবার দেওয়া হত না 
এখনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি উত্তর কোরিয়া 
 

Asianet News Bangla | Published : Jul 28, 2020 1:51 PM IST

উত্তর কোরিয়ার জেলে কাটানো ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন প্রায় ১০০ জনেরও বেশি মহিলা। যাঁরা প্রায় ১০ বছর কাটিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার জেলখানায়। একটু ভালোভাবে আর স্বাধীনভাবে বাঁচার আশা নিয়েই নাকি ওই মহিলারা নিজের দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা সম্ভব হয়নি। ধরা পড়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন হাজত বাস করতে হয়েছে। 

সদ্যোই মুক্তি পয়েছেন প্রায় শতাধিক মহিলা। রাষ্ট্র সংঘের মানবাধিকার রিপোর্ট অনুযায়ী একটি অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ায় বসে শোনালেন উত্তর কোরিয়ার ভয়াবহ দিনের কথা। 

অধিকাংশ মহিলারই অভিযোগ বন্দি জীবন ছিল ভয়াবহ। দিনের পর দিন তাঁদের ধর্ষণ আর মানসিক ও শারীরিক নির্যাত সহ্য করতে হয়েছে। নূন্যতম খাবার তাঁদের দেওয়া হত না বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। নিয়মিত পুষ্ঠিকর খাবারতো পেতেনই না। অনেকেই একাধিকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছেন বলেই জানিয়েছেন। 

এক মহিলা জানিয়েছেন তিনি ঘুমাতেন না। দিন রাতের অধিকাংশ সময় কাজ করতেন। কারণ তিনি পুলিশের হাতে মার খেতে চাননি। আরেক মহিলা জানিয়েছেন প্রথম দিনই তাঁকে জেলের মধ্যে ধর্ষণ করে এক  আধিকারিক। আর সেই ব্যক্তি নাকি মহিলাকে বলেছিল তাঁর কথা মত চললে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি মিলবে। ওই ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ। 

বন্দি জীবনে তাজা বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। একাধিক মহিলাকে জোর করে গর্ভপাত করানো হয়েছিল। এক মহিলা বলেন তাঁর শরীরে জখম এখনও তাজা রয়েছে। এখনও তিনি ব্যাথা অনুভব করেন। রাষ্ট্র সংঘের পক্ষ থেকে জানা হয়েছে ২০০৯ সাল থেকে ১৯ সাল পর্যন্ত যেসব মহিলারা আটক হয়েছিল তাঁদেরই এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। 

যদিও এখনও পর্যন্ত এই প্রতিবেদনের কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি উত্তর কোরিয়া প্রশাসন। আগে অবশ্য কিম প্রশাসন জানিয়েছিল তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই প্রতিবেদনের লেখক মার্কিন মানবাধিকার কর্মকর্তা জ্যানিয়েল কলিঞ্জ বলেছেন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই হল পিয়ংইয়ংএর অবস্থার উন্নতির জন্য চাপ তৈরি করা। দেশের স্বাধীনতী ও সমৃদ্ধির জন্য নাগরিকদের জীনের গুরুত্ব দেওয়া। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন দেশত্যাগকারীদের নির্বাসনে না পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়াও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে জোর দিয়েছে বলেও জানান হয়েছে। 

Share this article
click me!