
ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক: আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাতের কয়েক ঘন্টা আগে 'পারস্পরিক শুল্ক' নিয়ে বড় বিবৃতি দিয়েছেন। এই বিবৃতি এমন সময় এল যখন ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বাণিজ্য যুদ্ধ (Trade War) তীব্র হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে (আমেরিকান সময় ৬.৪৬ AM, ভারতীয় সময় ৫.১৬ PM) ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Truth Social-এ লিখেছেন: THREE GREAT WEEKS, PERHAPS THE BEST EVER, BUT TODAY IS THE BIG ONE: RECIPROCAL TARIFFS!!! MAKE AMERICA GREAT AGAIN!!!
এই পোস্ট বুধবার দেওয়া তার বিবৃতিরই বিস্তার যেখানে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে আমেরিকা যেসব দেশ আমেরিকান পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করে, তাদের উপর 'Tit for Tat' শুল্ক নীতি প্রয়োগ করবে।
হোয়াইট হাউস বুধবার জানিয়েছে যে ট্রাম্পের 'পারস্পরিক শুল্ক' পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগেই লাগু করা হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ আমেরিকায় পৌঁছেছেন, যেখানে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এটি দুই নেতার প্রথম বৈঠক।
২০১৭-২০২১ সালে ট্রাম্পের শুল্ক কৌশল: ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর ২৫% শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যার ফলে আমেরিকার উৎপাদন ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ২০১৯ সালে আমেরিকায় উৎপাদন কর্মসংস্থান কমেছে, যদিও শিল্প উৎপাদনে মন্দা দেখা দিয়েছে। কানাডা, মেক্সিকো, ব্রিটেন এবং জাপানকে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
ট্রাম্প সম্প্রতি ভারত, চীন এবং ব্রাজিলকে এমন দেশ বলেছেন যারা আমেরিকার ক্ষতি করছে। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি আবার রাষ্ট্রপতি হলে ভারত সহ অনেক দেশের উপর আরও কঠোর শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।
যাইহোক, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ট্রাম্পের সাক্ষাতের পর দেখার বিষয় ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য সম্পর্কে উন্নতি হবে, নাকি শুল্ক বিতর্ক আরও বাড়বে? কি ট্রাম্পের 'পারস্পরিক শুল্ক' নীতি ভারতের উপর প্রভাব ফেলবে? কি মোদীর ট্রাম্পের সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক এবার সব ঠিক করতে সক্ষম হবে।