কী ভাবে হয়েছিল বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ স্টিভ আরউইনের মৃত্যু? আজও রহস্যের চাদরে ঢাকা শেষ মুহূর্তের রেকর্ডিং

সমুদ্রে কিছু স্টিংরের ছবি তুলতে গিয়েই হৃৎপিণ্ডে গুরুতরভাবে আঘাত পান আরউন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। জানা যায় আরউইনের মৃত্যুর গোটা ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল। তবে ঠিক কী ভাবে কোথায় তাঁর মৃত্যু হয়, আরউইনের শেষ মুহূর্তের সেই রেকর্ডিংই বা কোথায়, এই পুরো বিষয়টা আজ রসহস্যের চাদরে ঢাকা। 

Ishanee Dhar | Published : Sep 6, 2022 3:26 PM IST

৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬, দিনটি ইতিহাসের পাতায় একটি রহস্যময় অধ্যায় হয়েই থেকে যাবে। ১৬ বছর আগে এই দিনেই বিখ্যাত বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ স্টিভ আরউইনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। জানা যায় সমুদ্রে কিছু স্টিংরের ছবি তুলতে গিয়েই হৃৎপিণ্ডে গুরুতরভাবে আঘাত পান আরউন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। জানা যায় আরউইনের মৃত্যুর গোটা ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল। তবে ঠিক কী ভাবে কোথায় তাঁর মৃত্যু হয়, আরউইনের শেষ মুহূর্তের সেই রেকর্ডিংই বা কোথায়, এই পুরো বিষয়টা আজ রসহস্যের চাদরে ঢাকা। 
আরউইন ছিলেন একাধারে চিড়িয়াখানার রক্ষক, সংরক্ষক, বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ ও বিখ্যাত টেলিভিশন ব্যাক্তিত্ব। বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে আরউইনের সম্পর্ক তাঁদেরকে বোঝার, নিজের বশে আনার যে ক্ষমতা আরউইনের ছিল তা বার বারই উঠে এসেছে তাঁর বিখ্যাত শো ‘দ্যা ক্রকোডাইল হান্টার’-এ। এমনকি তাঁর মৃত্যুর এত বছর পরেও সবচেয়ে প্রভাবশালী বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ হিসেবে আরউইনের নাম উঠে আসে। 
আরউইন সবসময় চাইতেন তারঁ আশেপাশের সমস্ত কিছু ক্যামেরাবন্দি হোক। এমনকি যদি তিনি হাঙর বা কুমিরের পেটে যান, যদি তিনি প্রাণ হারান সেই ঘটনাও যেন লেন্সবন্দি থাকে। বাস্তবেও নাকি আরউইনের এই স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর মুহূর্তটি রেকর্ড করা হয়েছিল একটি ডুবো ক্যামেরায়। তবে সেই রেকর্ডিং কোথায় আছে আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। 
টমি ডোনোভান, আরউইনের IMDb-এর জীবনীকার জানিয়েছেন, আরউইনের মৃত্যুর মুহূর্ত অবশ্যই ক্যামেরায় ধরা আছে। কারণ আরউইন এটা একপ্রকারের নিয়ম করে নিয়েছিলেন যে তাঁর আশেপাশে সব কিছু তিনি রেকর্ড করবেন। তিনি এও জানান, সেদিন আরউইনের সঙ্গে ছিলেন জাস্টিন লিয়ন। লিয়ন পরিস্থিতির ভয়াবহতা তখন বুঝতে পারেন, যখন সে নৌকোয় ফেরত এসে দেখেন আরউইন ঠিক করে নিশ্বাস নিতে পারছেন না। তিনি এও যোগ করেন, “আমরা যদি আরউইনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সুযোগও পেতাম তাও তাঁকে বাঁচাতে পারতাম কি না জানি না। কারণ আরউইনের হৃৎপিণ্ডে গুরুতর জখম লেগেছিল। 
ডোনোভান জানান, সেদিন আরউইনের সমুদ্রে যাওয়ারও কথা ছিল না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কয়েকটি নিরীহ স্টিংরের ছবি তুলতে গিয়েই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক ঘটনা। 

Share this article
click me!