
China Flood News: প্রকৃতির রুদ্ররোষে লাল চিন। গত কয়েক দিনের একটানা বৃষ্টিতে চিনে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন। হাজারের উপরে বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। চিনের জিনহুয়া সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আবহাওয়া দফতর রাজধানী বেজিং, প্রতিবেশী হেবেই এবং তিয়ানজিন সহ ১০টি প্রদেশের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত সতর্কতা জারি করেছে। একটানা ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। উদ্ধারকার্য চলছে এবং দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে।
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র চিনের রাজধানীতেই ৮০,০০০ এর বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। একটানা ভারী বর্ষণের ফলে শহরের বহু নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে এবং জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্য জোরকদমে চলছে। চিনের রাজধানী বেজিংয়ে রেকর্ড বৃষ্টিপাতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শহরের উত্তর-পূর্বের উপশহর মিয়ুন-এ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃষ্টির তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে মিয়ুনের বহু এলাকা কার্যত জলের তলায়।
এএফপি সংবাদ সংস্থাকে মিয়ুনের বাসিন্দা, জিয়াং নামের এক মহিলা জানিয়েছেন, "এবার বৃষ্টিটা অস্বাভাবিক রকম বেশি ছিল, সাধারণত এমনটা হয় না।" তার বাড়ির বাইরের রাস্তা দিয়ে অবিরাম জল বয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “রাস্তা জলে ডুবে আছে, তাই কেউ কাজে যেতে পারছে না।”
অতিবৃষ্টির কারণে, রাস্তায় ঘোলা জল বাড়িঘর, গাড়ি এবং হাইওয়েতে যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ ডুবিয়ে দিয়েছে। ষাটোর্ধ্ব এক স্থানীয় ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি তার জীবনে এত উঁচু জলের স্তর আগে কখনও দেখেননি। মিয়ুন এবং এর আশেপাশের এলাকার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং উদ্ধারকার্য জোরকদমে চলছে বলে জানিয়েছে চিনা প্রশাসন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।