মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরের কাছে অবস্থিত পুত্রা হাইটসে গ্যাস পাইপ ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, আকাশজুড়ে আগুনের গোলা দেখা গিয়েছিল। যা কয়েক মাইল দূর থেকেও দৃশ্যমান ছিল। এই ঘটনায় শতাধিক মানুষ
কুয়ালালামপুর: ভূমিকম্পের মধ্যেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। অগ্নিদ্বগ্ধ অন্তত ১০০ জন। তবে ঘটনাটি মায়ানমার বা থাইল্যান্ডের নয়। ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে মালয়েশিয়ায়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরের কাছে অবস্থিত পুত্রা হাইটসে গ্যাস পাইপ ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, আকাশজুড়ে আগুনের গোলা দেখা গিয়েছিল। যা কয়েক মাইল দূর থেকেও দৃশ্যমান ছিল। এই ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে বলে খবর।
এই বিষয়ে মালয়েশিয়ার জাতীয় তেল সংস্থা পেট্রোনাস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮:১০ মিনিট নাগাদ তাদের একটি গ্যাসের পাইপলাইনে আগুন লাগে। বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াতে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইনটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। এই বিষয়ে মালয়েশিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, ভালভ বন্ধ করে দিলে আগুন শেষ পর্যন্ত নিভে যাবে। কয়েক ঘণ্টা ধরে এই ভয়াবহ আগুন জ্বলতে থাকে। আকাশজুড়ে ঘূর্ণিঝড়ের মতো গোলা পাকিয়ে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল প্রায় ২০ তলা বাড়ির সমান।
এদিকে মর্মান্তিক এই ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত ১৪৫ জন। যদিও তাঁদের মধ্যে ৪০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৯০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিলো যে, ওই অঞ্চলের ৩০০ মিটারের মধ্যে থাকা বাড়িগুলিতে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিস্ফোরণে আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনয়ার ইব্রাহিম। তিনি জানিয়েছেন, সরকারের তরফে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি সারিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা জানতে প্রশাসনের তরফে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে মালয়েশিয়ার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, ভয়ঙ্কর এই বিস্ফোরণের ফলে অন্তত ৩০০ মানুষ জখম হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। শুধু তাই নয়, ঘটনায় একই দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিলো যে আগুন গোল গোল দলা পাকিয়ে আকাশে উঠে যাচ্ছিল। শুধু তাই নয়, এর তীব্রতা ছিলো প্রায় ২০ তলা বাড়ির সমান বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।