
Crude oil price: ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ (Israel-Iran Conflict) পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) হুঁশিয়ারির পরেই বাড়তে শুরু করেছে অশোধিত তেলের দাম (Crude oil price)। ভারতীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার ভোরে সবাইকে ইরানের রাজধানী তেহরান (Tehran) থেকে সরে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর হুঁশিয়ারির পর ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষ পরিস্থিতি জটিলতর হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরপরেই অশোধিত তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে তেলের দাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত তেলের দাম ৮৭ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেলে ৭২.৬৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৬,২৬৮ টাকা। বেঞ্চমার্ক হল নির্দিষ্ট অপরিশোধিত তেল, যা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নির্ধারণের মানদণ্ড। গত সপ্তাহে ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে অশোধিত তেলের দাম যা ছিল, তা এখন বেড়ে গিয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই তেলের দাম ওঠা-নামা করছে। মঙ্গলবার ফের বেড়ে গেল দাম।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম নির্ধারণের অপর মানদণ্ড ব্রেন্ট ৮৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ব্রেন্টের দাম বেড়ে প্রতি ব্যারেলে হয়েছে ৭৪.১০ মার্কিন ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় ভারতীয় মুদ্রায় ৬,৩৮৯ টাকা। সারা বিশ্বের খনিজ তেলের ভাণ্ডারের প্রায় ১০ শতাংশ ইরানের দখলে। যে দেশগুলি তেল রফতানি করে, তাদের মধ্যে প্রথমসারিতেই আছে ইরান। পেট্রোলিয়াম রফতানিকারী দেশগুলির (Organization of the Petroleum Exporting Countries) মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র ইরান। তবে পেট্রোলিয়ামের জন্য ইরানের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ফেলেছে ভারত। এদেশে যত তেল আমদানি করা হয়, তার ৩৮ শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে। এই কারণেই আরব দুনিয়ার উপর তেলের জন্য নির্ভরতা কমাতে পেরেছে ভারত। ফলে ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ শুরু হলেও, ভারতে তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা কম।
শুধু পশ্চিম এশিয়া বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়, অন্য দেশগুলিতেও ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে সব দেশই পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।