
বিলিওনিয়র বলতেই চোখের সামনে বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি, ডিজাইনিং পোশাক, দামি খাবার ও জীবনধরার ধারণা উঠে আসে। আজকাল যেখানে ধনী মানুষদের অনেকেই নাম-যশে ভেসে যান, সেখানে ইলন মাস্ক প্রযুক্তি ও মানবজাতির অগ্রগতির লক্ষ্যকে প্রাধান্য দেন, নিমিত্ত জীবন ধারায় বিশ্বাস করেন।
ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইও ইকন মাস্কের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৪০৯ বিলিয়ন বা ৪০ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। একবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, বেশিরভাগ ধনী ব্যক্তিরা যে জিনিসগুলি উপভোগ করেন সেগুলিতে তিনি অর্থ ব্যয় করেন না। যেমন ধনী ব্যক্তিরা প্রাসাদ, অভিনব খাবার বা দামি গাড়িতে অর্থ ব্যয় করেন। কিন্তু ইলন মাস্ক তাতে খরচ করেন না।
ইলন মাস্কের মতে, বাড়ি বড় বিলাসবহুল হওয়ার চেয়ে নিরাপদ থাকার আশ্রয় হলেই হয়। তিনি গত কয়েক বছরে নিজের সাতটি বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি টেক্সাসে স্পেসএক্স-এর কাছে একটি ছোট ‘প্রিফ্যাব’ ঘরে থাকেন, যার দাম মাত্র ৫০,০০০ ডলার। মাস্কের মতে, বাড়ির জন্য লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করাটা বাজে খরচ।
অধিকাংশ ধনী মানুষ ব্যয়বহুল রেস্তরাঁর খোঁজে থাকেন, কিন্তু ইলন মাস্ক জানান, তিনি মাত্র এক ডলারের খাবার খেয়ে দিন কাটাতে পারেন। তাঁর কথায়, এই শিক্ষা তিনি অনেক আগে থেকেই আয়ত্ত করেছেন। ফলে তার অসুবিধা হয় না। দামি খাবারের পিছনে তিনি বেশি টাকা খরচ করা পছন্দ করেন না।
ইলন মাস্ক কোনওদিন বিলাসবহুল আসবাব বা সজ্জার প্রতি আগ্রহী নন, এগুলি নাকি বাজে খরচ।বাড়ি ছোট, তাই তার আসবাবও সীমিত। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, কখনও কখনও তার জীবনযাত্রা এতটাই সাধারণ হয়ে পড়ে যে, দারিদ্র সীমার নিচে আছেন বলেই মনে হয়!
আজকাল মানুষ যত ধনী গাড়ির শখ ততো বেশি তাদের। একবার এক মিলিয়ন ডলার দিয়ে একটি ম্যাকলারেন এফ ১ মডেলের গাড়ি কিনেছিলেন ইলন। কিন্তু টেস্ট ড্রাইভের সময়ই গাড়িটি দুর্ঘটনায় পড়ে। গাড়ির কোনও ইনসুরেন্স করানো ছিল না। সেই গাড়ি কিন্তু আর পাল্টাননি তিনি। তার পর থেকে টেসলার গাড়িই চালান তিনি।