ইজরায়েলের সঙ্গে 'সমঝোতা'র বার্তা হামাসের, কোন শর্তে বন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি প্যালেস্টানি গোষ্ঠী?

অবশেষে ইজরায়েলের কাছে সমঝোতার বার্তা দিল প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাস।

Ishanee Dhar | Published : Oct 19, 2023 3:33 AM IST / Updated: Oct 19 2023, 09:04 AM IST

অবশেষে যুদ্ধ বিরোতির দিকে ঝুঁকছে প্যালেস্টাইন। চলতি ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষে মৃত্যু মিছিল গাজায়। গৃহহারা লাখ লাখ মানুষ। এবার অবশেষে ইজরায়েলের কাছে সমঝোতার বার্তা দিল প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাস। শর্তসাপেক্ষে ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দিতেও রাজি হামাস। শর্ত কেবল একটাই অবিলম্বে গাজ়ায় সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে ইজ়রায়েলকে। গতকালও গাজার হাসপাতালে বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। যদিও সেই দায় অস্বীকার করেছে ইজরায়েল।

যুদ্ধের আবহে মৃত্যু মিছিল গাজায়। শুরুর দিকে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩৭৪৮ মত। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,০৬৫-তে। আহতের সংখ্যা আরও বেশি। এরই মধ্যে গাজার হাসপাতালে হামলার জেরে একদিনেই নিতহের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছিল। যদিও এই হামলার দায়ে ইজরায়েল নিতে চায়নি, তবুও এবার ইজরায়েলের কাছে হামলা থামানোর আর্জি করল হামাস। ইজরায়েল হামলা থামালেই বন্দিদের মুক্তি দেওইয়া হবে বলেও জানিয়েছে প্যালিস্টানি গোষ্ঠী। তবে এখনও পর্যন্ত হামাসের সমঝোতা বার্তার কোনও উত্তর দেয়নি ইজরায়েল।

প্রসঙ্গত, ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘর্ষের মাঝেই গাজার হাসপাতালে বোমা হামলার মর্মান্তিক ঘটনা। তবে প্রাথমিকভাবে এই হামলার জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করা হলেও, গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইজরায়েল। উপরোন্তু গোটা ঘটনার জন্য ইসলামিক জিহাদকেই দায়ী করছে তারা। এই মর্মে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের পক্ষ থেকে একাধিক ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে গাজার সন্ত্রাস দলের পক্ষ থেকেই ভুল বসত একটি রকেট লঞ্চ করা হয় যা গাজা শহরের আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে বিস্ফোরণ ঘটে। বুধবারই নিজেদের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট (পূর্বতন টুইটার) থেকে ভিডিও গুলি শেয়ার করেছে আইডিএফ।

এই প্রসঙ্গে আইডিএফ-এর মুখপাত্র, রিয়ার অ্যাড. ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, তথ্য বিশ্লেষণ ও অন্যান্য প্রমাণ থেকে জানা যাচ্ছে যখন ঘটনাটি ঘটে ঠিক তার আগেই গাজার ওই হাসপাতালের পাশ্ববর্তী এলাকা থেকেই রকেট ফায়ার করা হয়েছিল যার ফলে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। মূলত ইসলামিক জিহাদকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করছে আইডিএফ।

প্রায় ১০ দিন হতে চলল যুদ্ধের। গাজায় বাড়ছে ঘরছাড়া মানুষের কান্না। হামলার ভয় অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিল অনেকেই। তবে রক্ষা মিলল না সেখানেও। জানা যাচ্ছে গাজার হাসপা ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন এখনও অনেকে। এই হামলা প্রসঙ্গে ইজ়রায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের,'বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি আমরা। কিছু ক্ষণ আগেই হামলাটি হয়েছে।'

Share this article
click me!