
রয়টার্স এবং স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে যে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের লাহোরে একাধিক জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এরপরেই সাইরেন বেজে ওঠে এবং লোকজন তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী শিবিরে আঘাত হানে ভারত, যা পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতের পাল্টা উত্তর হিসাবে ধরা যেতে পারে। এই ঘটনায় ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছিল।
স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, লাহোরের গোপাল নগর এবং নাসিরাবাদ এলাকায় ওয়ালটন বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। মিডিয়াসূত্রে পাওয়া বিভিন্ন দৃশ্যগুলোতে লাহোরবাসীকে আতঙ্কে তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে এবং চারিদিকে বিস্ফোরণের ধোঁয়াতেও ছেয়ে যেতে দেখা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে য়ে, বিস্ফোরণটি একটি ড্রোনের কারণে হতে পারে, যার মাপ ৫-৬ ফুট। সূত্রের মতে, ড্রোনটি সিস্টেম জ্যাম করে গুলি করে নামানো হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং বেসামরিক অবকাঠামোর কোনো ক্ষতি হয়নি।
বুধবার মধ্যরাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) যৌথ অপারেশনে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এর সাথে যুক্ত নয়টি স্থানে সন্ত্রাসী শিবির ধ্বংস করে যার নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’।
আইএএফ রাফালে জেট ব্যবহার করে আকাশ থেকে ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, এবং সেনাবাহিনী একই সময়ে ভূমি থেকে ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, সূত্র জানিয়েছে। সুনির্দিষ্ট আঘাতে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে ৮০-৯০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্র মারফত।