রাজতন্ত্র ফেরার দাবিতে সরব নেপালের সাধারণ জনতা। রাজতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভে প্রায় অগ্নিগর্ভ প্রতিবেশী দেশটি। নেপাল পুলিশ রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান রবীন্দ্র মিশ্র, জেনারেল সেক্রেটারি ধাওয়াল শামশের রানা, স্বাগত নেপাল, শেফার্ড লিম্বু এবং সন্তোষ তামাং-এর মতো রাজতন্ত্রপন্থী কর্মীদের বিক্ষোভের সময় হিংসা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় সবমিলিয়ে প্রায় নেতা কর্মী-সহ ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে। কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে। হিংসতার সূত্রপাতের পর থেকে কাঠমান্ডুর কিছু অংশে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
রাজতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নবরাজ সুবেদিকে গৃহবন্দী করা হয়েছে এবং নেপালের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো রাজতন্ত্রবাদী আন্দোলনের 'প্রধান কমান্ডার' দুর্গা প্রসাদকে খুঁজছে। "তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে এবং আমরা তাকে সনাক্ত করার চেষ্টা করছি," এমনই জানিয়েছেন নেপালের এক প্রবীণ কর্মকর্তা।
নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল শুক্রবার প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ করেছেন। তিনি প্রাক্তন রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যব্স্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এএনআই-কে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় শনিবার সকালে সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্টের একটি অফিস পরিদর্শন করেন। যে হিংসার সময় ভাঙচুর করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, এখন এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে জ্ঞানেন্দ্র শাহ এই সমস্ত কাজের পিছনে রয়েছেন। জ্ঞানেন্দ্র শাহের উদ্দেশ্য বিক্ষোভ হয়েছে। অতীতেও এটি দেখা গিয়েছিল এবং বর্তমানেও দেখা যাচ্ছে। এখন সময় এসেছে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার, অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য তদন্ত করা উচিত এবং জ্ঞানেন্দ্র শাহকে এখন রেহাই দেওয়া যাবে না - পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হলেও, এটি নেপালি নাগরিকদের জন্য অগ্রহণযোগ্য এবং সরকারের এই বিষয়ে গুরুতর হওয়া উচিত। এমনই জনিয়েছেন তিনি।
বিরোধী সিপিএন - মাওবাদী কেন্দ্রের চেয়ারম্যান দাহল রাজতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভের প্রস্তুতিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেও অভিযোগ। তিনি বলেন, 'সরকার ও পুলিশের প্রস্তুতির অভাব রয়েছে। আক্রমণ শুরুর খবর পাওয়ার পরেও ৪৫ মিনিটের পর ঘটনাস্থলে সক্রিয় হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীরা।' তিনি নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন এতটা বড় আন্দোলন হবে তা তিনি ভাবতেও পারেননি।