কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ইজরায়েল হামাসের হামলা সম্পর্কে অবগত ছিল না এবং ক্রমাগত রকেট হামলার কারণে ইজরায়েলের নিরাপত্তা শিল্ড আয়রন ডোমও ব্যর্থ হয়।
গত শনিবার সাতই অক্টোবর, হামাস ক্রমাগত ৫০০ রকেট দিয়ে ইজরায়েল আক্রমণ করে। এতে পুরো ইজরায়েল কেঁপে ওঠে এবং ক্ষুব্ধ ইজরায়েল প্যালেস্তাইনের হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এখন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে এবং হামাসের শক্ত ঘাঁটি গাজায় ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করছে ইজরায়েল।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ইজরায়েল হামাসের হামলা সম্পর্কে অবগত ছিল না এবং ক্রমাগত রকেট হামলার কারণে ইজরায়েলের নিরাপত্তা শিল্ড আয়রন ডোমও ব্যর্থ হয়।
এমতাবস্থায় এখন প্রশ্ন জাগে যে হামাস কার পক্ষে এই হামলা চালিয়েছে এবং কোথায় ষড়যন্ত্র করা হয়েছে? একদিকে হামাসের হামলায় খুশি ইজরায়েলের শত্রু ইরান ও লেবাননসহ অনেক দেশ। একই সঙ্গে হামাসের হামলার সঙ্গে ইরানের সরাসরি যোগ প্রকাশ্যে আসছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র হামাস এবং হিজবুল্লাহ সংগঠনের সদস্যরা এটি জানত।
এভাবেই ইজরায়েল আক্রমণের ষড়যন্ত্র হয়
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইজরায়েলি হামলা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ছিল। হামাস ও হিজবুল্লাহর পাশাপাশি ইরানও এই পরিকল্পনায় জড়িত ছিল। হামলার আগে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এমনকি হামাসকেও ইরান প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। একযোগে স্থল, সমুদ্র ও বিমান হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ইরান বলেছে, হামাসের হামলা থেকে ইজরায়েল কখনোই বেরিয়ে আসতে পারবে না।
১৯৭৩ সালের মতো হামলার পরিকল্পনা ছিল
অনেক মিডিয়া রিপোর্টে এটাও দাবি করা হচ্ছে যে ইজরায়েলের উপর ১৯৭৩ সালের মতো হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ১৯৭৩ সালে, সিরিয়া এবং মিশর একযোগে ইসরায়েল আক্রমণ করেছিল, যদিও ইজরায়েল জিতেছিল। একই সঙ্গে আমেরিকা বলছে, ইজরায়েল হামলায় ইরানের সরাসরি জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ইরান কেন হামাসকে সমর্থন করছে?
একই সঙ্গে ইরান এখন প্রকাশ্যে হামাসকে সমর্থন করছে। প্যালেস্তাইনকে সমর্থন করতে এবং তাদের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য ইরান সকল ইসলামিক দেশকে আহ্বান জানিয়েছে। ইরান সময়ে সময়ে হামাসকে অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ করে। ইরান ক্রমাগত আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে।