রুশ সেনাদের আত্মত্যাগকে ভদকা খেয়ে মরার সঙ্গে তুলনা করলেন পুতিন , উত্তাল রাশিয়া

দেশ কত লোক তো ভদকা খেয়ে মরছে, কিন্তু তাঁদের খোঁজ ক’জন রাখেন? কিন্তু আপনার ছেলে তো দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে শহিদ হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যে তোলপাড় রাশিয়া

Bhaswati Mukherjee | Published : Nov 27, 2022 5:19 PM IST

রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকেই রাশিয়ার জনসাধারণ তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিল রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে। তারা স্পষ্ট দাবি করেন যে এই যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য পুরোপুরিই পুতিনই দায়ী। তিনি জনসাধারণের কথা একবারও না ভেবে ঘোষণা করেছেন এই যুদ্ধ। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তাতেও নামতেও দেখা যায় রুশ জনসাধারণের একাংশকে। এবার যুদ্ধ কবে থামবে এই দাবি নিয়ে মৃত সেনার পরিবারের লোকজন আন্দোলন করলে রুশ প্রেসিডেন্ট নির্বিকারে তাদের বলেন ,দেশ কত লোক তো ভদকা খেয়ে মরছে, কিন্তু তাঁদের খোঁজ ক’জন রাখেন? কিন্তু আপনার ছেলে তো দেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে শহিদ হয়েছে। তার এই মন্তব্যে এখন তোলপাড় রুশ গণমাধ্যম।

রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে প্রায় দু হাজার রুশ সৈন্যকে। এই যুদ্ধের কারণে অনেক মাই হয়েছেন সন্তানহারা। অনেক স্ত্রী হয়েছেন স্বামীহারা কিন্তু প্রেসিডেন্ট পুতিনের হয়ে যারা দেশের জন্য যুদ্ধে নামলেন তাদের কি এমন সম্মান পাওনা ছিল শেষে ? এই প্রশ্নে এখন উত্তাল গোটা রাশিয়া। কেন এমন উদ্ভট মন্তব্য করে বসলেন পুতিন ? রাশিয়ার এক সংবাদ সূত্রে খবর এ যুদ্ধ কবে থামবে সেই আর্জি নিয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে গেছিলেন যুদ্ধে প্রাণ দেওয়া ১৭ জন সৈন্যের মা। তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎও করেন পুতিন। কিন্তু তাদের আর্জি শোনার পর হঠাৎই পাল্টা প্রত্যুত্তরে এমন উদ্ভট মন্তব্য করে বসেন পুতিন । পরে অবশ্য সুর নরম করেন তিনি। সুর নামিয়ে তিনি বলেন সন্তান হারানোর যন্ত্রণা তিনি বোঝেন। মায়ের কাছে ছেলের জায়গা কেউই নিতে পারবে না। তাই রুশ সরকার সেনা পরিবারগুলির পাশে সব সময় থাকবে বলেও সেদিন প্রতিশ্রুতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

সম্প্রতি রুশ সেনাবাহিনীর মা ও স্ত্রীদের পর পর কিছু সামাজিক পোস্ট ঝড় তোলে নেটমহলে। তারা দাবি করেন যে কোনোরকম কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই তাদের বাড়ির ছেলেদের যুদ্ধে পাঠিয়ে দিচ্ছে রুশ সরকার। এ নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় সারা রাশিয়া জুড়ে। তাঁরা পুতিনের কাছে আবেদনও জানান, এ ভাবে প্রশিক্ষণ ছাড়া তাঁদের সন্তান, স্বামীদের যুদ্ধে যেন না পাঠানো হয়। তার পরই পুতিন সেনা পরিবারগুলির সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নেন।

Share this article
click me!