আইপিএল মানে শুধুই ক্রিকেট নয়, একই সঙ্গে বিনোদনও বটে। আর এই বিনোদনেরই অংশ ক্রিকেটারদের ফ্যাশন। ম্যাচের সময় ও আগে-পরে ফ্যাশনেবল থাকাটা এখন ক্রিকেটিয় দক্ষতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। সেনকো গোল্ড সংস্থার পুরুষদের অলঙ্কারের ভান্ডার 'অহম'-এর উন্মোচন করতে এসে এমনটাই জানালেন কেকেআর ক্রিকেটার লোকি ফার্গুসন-ম্য়াট কেলিরা।
আইপিএল মানে শুধুই ক্রিকেট নয়, একই সঙ্গে বিনোদনও বটে। আর এই বিনোদনেরই অংশ ক্রিকেটারদের ফ্যাশন। ম্যাচের সময় ও আগে-পরে ফ্যাশনেবল থাকাটা এখন ক্রিকেটিয় দক্ষতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। সেনকো গোল্ড সংস্থার পুরুষদের অলঙ্কারের ভান্ডার 'অহম'-এর উন্মোচন করতে এসে এমনটাই জানালেন কেকেআর ক্রিকেটার লোকি ফার্গুসন-ম্য়াট কেলিরা।
দীর্ঘদিন ধরেই কেকেআর-এর অন্যতম স্পন্সসর সেনকো গোল্ড অ্য়ান্ড ডায়মন্ডস। একটা সময় পুরুষ ব্যঙ্গ করতে বলা হত চুড়ি পরে থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে বদলে যাওয়া সমাজে পুরুষরাও ফ্যাশন নিয়ে মহিলাদের মতোই সমান সচেতন। আর তারাও গলায় চেন, হাতে ব্রেসলেট বা আঙটি পরতে সমান আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আর এই চাহিদা মেটাতেই পুরুষদের জন্য সম্প্রতি অহম নামে একটি জুয়েলরি লাইন চালু করল সংস্থা।
উদ্বোধনের জন্য কেকেআর দলের পক্ষে সংস্থার সল্টলেকের দোকানে উপস্থিত হন কেকেআর-এর কিউই জোরে বোলার লোকি ফার্গুসন, সদ্য অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত আরেক জোরে বোলার ম্য়াচ কেলি, সন্দীপ ভারিয়ার ও বাঁহাতি ব্য়াটম্যান রিঙ্কু সিং।
এবারের আইপিএল-এর শুরুতে নাইট সমর্থকদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল ফার্গুসনের পাকানো গোঁফ। গব্বর স্টাইলের সেই গোঁফ কেটে ফেললেও তিনি যে ফ্যাশন নিয়ে দারুণ আগ্রহী তা ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিয়েছেন। সদ্য কলকাতায় পা রাখা ম্য়াট কেলি স্বাভাবিকভাবেই একটু গুটিয়ে থাকলেও তিনিও ফার্গুসনের কথায় সায় দিয়ে জানিয়েছেন, আইপিএল-এর যুগে ক্রিকেটিয় দক্ষতার পাশাপাশি নিজেকে সুন্দর দেখতে করে তোলাটাও দরকারি। কর্নাটকের জোরে বোলার সন্দীপ ভারিয়ারও সেনকোর নতুন কালেকশন নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ব্যতিক্রম রিঙ্কু সিং। প্রথম থেকেই শত অনুরোধেও পুরুষদের অলঙ্কার নিয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশ করতে রাজি হননি। এমনকী মঞ্চে বসে কেকেআর-এর তিন জোরে বোলার নিজেদের মধ্যে হাসি-ঠাট্টা করলেও তাঁকে বেশিরভাগ সময় নিজের মোবাইলেই ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছে।
অনুষ্ঠানে সেনকোর কিছু বিশেষ গ্রাহকের সঙ্গে আলাদা করে মিলিতও হন কেকেআর-এর ক্রিকেটাররা। একটি শিশুকে কোলে তুলে নেন ফার্গুসন। তবে গোটা অনুষ্ঠানে ক্রিকেট নিয়ে একটিও কথা হয়নি। পর পর ম্যাচ হারলেও কেকেআর-এর অন্দরমহল যে খোশ মেজাজেই রয়েছে, তা ফার্গুসনদের দেখেই বোঝা গিয়েছে।