করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই দেশে বসতে চলেছে আইপিএলের আসর। ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে প্রতিযোগিতা। করোনার কথা মাথায় রেখে মোট ৬টি মাঠকে বেছে নেওয়া হয়েছে আইপিএল ভেন্যু হিসেবে। যার মধ্যে রয়েছে চেন্নাই, হায়দরাবাদ, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, দিল্লি এবং যেখানে করোনার সবথেকে বেশি বাড়বাড়ন্ত মুম্বই। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিক সংখ্যা ৯০ হাজার ছুয়েছে। যা মাথাব্যাথার কারণ হয়েছে বিসিসআই কর্তাদের।
এরইমধ্যে চিন্তা আরও বাড়িয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মুম্বইয়ের য়াংখেড়ের ১০ জন মাঠকর্মী এবং ৬ জন আয়োজককর্মী। মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার। এর মধ্যে ওয়াংখেড়ের কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হওয়া ও একইসঙ্গে দিল্লি ক্যাপিটালসের অক্ষর প্যাটেল করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মুম্বইতে প্রতিযোগিতা হবে কিনা তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। বিসিসিআউ কর্তারা ইতিমধ্যেই আলোচনাও শুরু করে দিয়েছে। এই অবস্থায় হায়দরাবাদ ও ইন্দোরকে স্ট্যান্ড-বাই হিসেবে বিবেচনার কথাও শোনা যাচ্ছে।
আইপিএলের শুরু থেকেই টানা ম্যাচ রয়েছে ওয়াংখেড়ে। ১০ তারিখ ওয়াংখেড়ে প্রথম ম্য়াচ। মুখোমুখি হতে চলেছে চেন্নাই সুপার কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস। এছাড়া ১০ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে ওয়াংখেড়েতে ১০টি ম্য়াচ রয়েছে। জস্থান রয়্যালস, কিংস ইলেভেন পঞ্জাব, কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরেরও খেলা রয়েছে। এতগুলি দল, এতগুলি প্লেয়ারের ঝুকির কতা মাথায় ঘুরছে বিসিসিআই কর্তাদের। ফলে এর জন্য স্ট্য়ান্ডবাই মাঠ রেডি রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ প্রয়োজনে ম্য়াচ সরানো হতে পারে হায়দরাবাদ বা ইন্দোরে।