আইপিএলের প্লে অফে ওঠার লড়াইয়ে প্রথমে ব্যাট করে বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হল আরসিবি। দিল্লি ক্যাপিটালসের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের সামনে ব্যাঙ্গালোরের ইনিংস শেষ হল ১৫২ রানে। আরসিবির হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন দেবদূত পাড়িকল। ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ডিভিলিয়ার্স। দিল্লির হয়ে ৩টি উইকেট নেন নকিয়া ও ২টি উইকেট নেন রাবাডা। এদিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়র। আরসিবির হয়ে ওপেন করতে নেমে একটু ধীর গতিতে শুরু ককরেন আরসিবির দুই ওপেনার দেবদূত পাড়িকল ও জস ফিলিপে। কিন্তু পঞ্চম ওভারেই ভাঙে আরসিবির ওপেনিং জুটি। দলের ২৫ রানের মাথায় কাগিসো রাবাডার বলে ব্যক্তিগত ১২ রান করে আউট হন জোস ফিলিপে। এরপর ক্রিজে আসেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দেবদূত পাড়কলের সঙ্গে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লে শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ৪০ রানে ১ উইকেট।
পাওার প্লের পরও পার্টনারশিপ এগিয়ে নিয়ে যান দুই ব্যাটসম্যান। তবে দিল্লির বোলারদের আঁটোসাটো বোলিংয়ের কাছে দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেননি কোহলি ও পাড়িকল। উইকেট না হারিয়ে তারাও ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যানআরসিবির স্কোর বোর্ড। ১০ ওভার শেষে বিরাট ব্রিগেডের স্কোর দাঁড়ায় ৬০ রানে ১ উইকেট। কিন্তু ৪২ রানের পার্টনারশিপ করার পর দ্বিতীয় উইকেট পড়ে আরসিবি। ১৩ তম ওভারে দের ৮২ রানের মাথায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হন বিরাট কোহলি। তিনি করেন ২৪ রান। এরপর ক্রিজে আসেন এবি ডিভিলিয়ার্স। অপরদিকে নিজের অনবদ্য ব্যাটিং চালিয়ে যান দেবদূত পাড়িকল। ১৫ তম ওভারেনিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১০৩ রান।
১৬ তম ওভারে দুরন্ত বোলিং করেন আনরিখ নকিয়া। আরসিবিকে জোড়া ধাক্কা দেন তিনি। প্রথমে বোল্ড হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান দেবদূত পাড়িকল। ৫০ রান করেন তিনি। তারপর খাতা না খুলেই আউট হন ক্রিস মরিস। অপরদিক থেকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন এবিডি। ১৭ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর হয় ১১৭ রানে ৪ উইকেট। ১৮ তম ওভারে রানের গতিবেগ বাড়ান ডিভিলিয়ার্স ও শিবম দুবে। ওভার থেকে আসে ১৭ রান। ১৯ তম ওভারের শুরতেই একটি বিশাল ছক্কা হাঁকান এবিডি। ওভারে আরও একটি তার মারেন শিবম দুবে। কিন্তু ওভারের শেষ বলে রাবাডার শিকার হন শিবম দুবে। ১৭ রান করে আউট হন তিনি। ১৯ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ১৪৫ রানে ৫ উইকেট। ২০ তম ওভারের প্রথম বলেই রান আউট হন ডিভিলিয়ার্স। ৩৫ রান করেন তিনি। এরপর ক্রিজে একটি চার মেরে আউট হয়ে যান ইশুরু উদানাও। ২০ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ১৫২ রানে ৭ উইকেট। দিল্লি ক্যাপিটালসের টার্গেট ১৫৩ রান।