শারজার ছোট মাঠে অপেক্ষাকৃত ভাল বোলিং কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের। ২০ ওভার সেষে আরসিবি করল ১৭১ রান। ব্যাঙ্গালোরের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। শেষে ৮ বলে ২৫ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন ক্রিস মরিস। এদিন টসে জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ওপেনিং করতে নেমে শুরুটা ভালই করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও দেবদদূত পাড়িকল। কিন্তু পঞ্চম ওভারে দলে ৩৮ রানের মাথায় আর্শদীপ সিংয়ের বলে আউট হন দেবদূত পাড়িকল। ১৮ রানের ইনিংসে একটি চার ও একটি ছয় মারেন দেবদূত পাজডিকল। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহি। অ্যারন ফিঞ্চ ও বিরাট ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান আরসিবির। বেশ কিছু আক্রমণাত্বক শট খেলেন দুই তারকা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে ব্যাঙ্গাোরের স্কোর দাঁড়ায় ৫৭ রানে ১ উইকেট।
কিন্তু সপ্তম ওভারে মুরগান অশ্বিনের বলে আউট হন অ্যারন ফিঞ্চ। ২০ রান করেন তিনি। এরপর ডিভিলিয়ার্স না এসে নামেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ২৪ রানের পার্টনারশিপও করেন দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু ১১ তম ওভারে মুরগান অশ্বিনের বলে আউট হয়ে যান সুন্দর। ১৩ রান করেন তিনি। ৮৬ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ার পরও ডিভিলিয়ার্স না নেমে ক্রিজে আসেন শিবম দুবে। একদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান বিরাট কোহলি। ১৪ ওভার শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের স্কোর দাঁড়ায় ১০৩ রানে ৩ উইকেট। ১৫ ওভারে রান রেট বাড়ায় আরসিবি। ওভারে আসে ১৯ রান। ১৫ ওভার শেষে বিরাট কোহলির দলের স্কোর দাঁড়ায় ১২২ রানে ৩ উইকেট।
শেষ ৫ ওভারে রানের গতিবেগ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করে আরসিবি। কিন্তু দ্রুত গতিতে রান করতে গিয়ে ১৬ তম ওভারে আউট হন শিবম দুবে। ক্রিস জর্ডানের বলে ২৩ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন এবি ডিভিললিয়ার্স। ১৭ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ১৩৩ রানে ৪ উইকেট। কিন্তু এদিন ব্যাট হাত নিরাশ করেন এবি ডিভিলিয়ার্স। ১৮ তম ওভারে মহম্মদ শামির বলে ২ রান করে আউট হন এবিডি। একই ওভারে আরসিবিকে আরও একটি ঝটকা দেন শামি। ৪৮ রান করে শামির বলে আউট হন বিরাট কোহলি। ১৮ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ১৩৭ রানে ৬ উইকেট। ১৯ তম ওভারে আসে ৯ রান। শেষ ওভারে দুরন্ত ব্যাটিং করেন ক্রিস মরিস। ২৪ রান আসে শেষ ওভারে। ২০ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ১৭১ রানে ৬ উইকেট। ৮ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্রিস মরিস। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের টার্গেট ১৭২ রান।