সুযোগ পেয়েই ফর্মে ঋদ্ধিমান, টুর্নামেন্টে ভেসে রইল হায়দরাবাদ

• কাল ছিল আইপিএল ২০২০ এর ৪৭ তম ম্যাচ
• মুখোমুখি হয়েছিল হায়দরাবাদ ও দিল্লি
• দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা
• তার ব্যাটিং ও রশিদ খানের বোলিংয়ে আইপিএলে টিকে রইলো হায়দরাবাদ
 

Reetabrata Deb | Published : Oct 28, 2020 5:09 AM IST

বড় ব্যবধানে জিতে কম্পিটিশনে টিকে রইলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রতিযোগিতার অন্যতম শক্তিশালী দল দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে নক আউটে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখলো ডেভিড ওয়ার্নাররা। অপরদিকে পর পর ম্যাচ হেরে আচমকাই অস্বস্তিতে দিল্লি শিবির। ব্যাটিং, বোলিং দুই জায়গাতেই কাল চূড়ান্ত ফ্লপ দিল্লি ক্রিকেটাররা। কাল চূড়ান্ত ব্যর্থ দিল্লি তথা আইপিএল ২০২০ এর সেরা পেসার কাগিসো রাবাদা। সেই সাথে দ্রুত ইনিংস শেষ হয়ে যায় এই মুহুর্তে দিল্লির সেরা ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ানের। 

তবে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল আরও আগেই। টসে জিতে হায়দরাবাদকে আগে ব্যাটিং করতে পাঠায় দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। জনি বেয়ারস্টোর বদলে এই ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন বঙ্গতনয় ঋদ্ধিমান সাহা। ওয়ার্নারের সাথে মিলে ব্যাট হাতে তান্ডব শুরু করেন এই মুহুর্তে বিশ্বের সেরা উইকেটরক্ষক। দিল্লি পেসারদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন ওয়ার্নার। তিনি আউট হওয়ার পরেও হায়দরাবাদ ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান বাংলার পাপালি। পেসার, স্পিনার কাউকেই ছেড়ে দেননি ঋদ্ধিমান সাহা। রাবাদার বলকে যেমন পুল করে বাউন্ডারিতে পাঠিয়েছেন, ঠিক তেমনি অশ্বিনের স্পিনকে নিখুঁত সুইপে বাউন্ডারিতে পৌঁছে দিয়েছেন। সেঞ্চুরি অনায়াসে করতে পারতেন, কিন্তু দলের কথা ভেবে অতি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে গিয়ে মাত্র ১৩ রানের জন্য শতরান মিস করেন বঙ্গ উইকেটরক্ষক। যদিও চোটের জন্য তারপর কিপিং করতে নামতে পারেননি তিনি। তার বদলে গ্লাভস হাতে নামেন আর এক বঙ্গ উইকেটরক্ষক শ্রীবৎস গোস্বামী। শেষপর্যন্ত ৪৪ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে হায়দরাবাদকে ২০০ রানের গন্ডি পেরোতে সাহায্য করেন মনীশ পান্ডে। 

ব্যাট হাতে একমাত্র অজিঙ্কা রাহানে ছাড়া অন্য কাউকে চেষ্টা করতে দেখা যায়নি দিল্লি ক্যাপিটালসের। রিষভ পন্থ ৩৫ বল খেলে করেন মাত্র ৩৬ রান। দুর্দান্ত বোলিং করেন রশিদ খান সহ হায়দরাবাদের বেশিরভাগ বোলার। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তোলেন রশিদ। রাহানে হেটমায়ার ও অক্ষর প্যাটেলের উইকেট নেন তিনি। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন সন্দীপ শর্মা ও নটরাজন। তবে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল ওয়ার্নার এবং ঋদ্ধিমানের ওপেনিং জুটিই।

Share this article
click me!