জলপাইগুড়িতে আরও ২ করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। যার জেরে গত দেড় সপ্তাহে এই জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন হয়ে গেলো। জানা গিয়েছে, এই দুই নতুন করোনা আক্রান্ত নাগরাকাটার হিলা চা-বাগান এলাকার বাসিন্দা। এর ফলে, হিলা চা-বাগান-কে কনটেনমেন্ট জোন করে দেওয়া হয়েছে। দুই আক্রান্তই পরিযায়ী শ্রমিক। এরা ১৫ মে ইন্দৌওর থেকে জলপাইগুড়িতে ফিরেছিল। ১৫ মে এদের নাগরকাটার সরকারি কোয়ারান্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল।
১৭ মে দুই পরিযায়ী শ্রমিকের লালরস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু, ওই দিনই দুই জনকে বাড়িতে পাঠিয়ে হোম কোয়ারান্টাইন করানো হয়। কেন সরকারি কোয়ারাইন্টাইন সেন্টার থেকে দুই পরিযায়ী শ্রমিককে বাড়িতে পাঠানো হল? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, ওই দুই শ্রমিক হিলা চা-বাগান গিয়ে একাধিক জনের সঙ্গে মেলামেশা করেছে। লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই কেন এদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
উত্তরবঙ্গে করোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি চিকিৎসক সুশান্ত রায় রবিবার রাতে জানান, ওই দুই করোনা আক্রান্তকে যাতে দ্রুত জলপাইগুড়ির কোভিড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তার জন্য ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি জানিয়েছেন, হিলা চা-বাগানটিকে কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। আক্রান্ত দুই জনের পরিবারের সদস্যদেরও হোম কোয়ারান্টাইন করা হয়েছে। এদিকে, নাগরাকাটার বিডিও স্মৃতি সুব্বা রবিবার-ই হিলা চা-বাগানে যান এবং দুই নতুন আক্রান্তের পরিবারের কোয়ারান্টাইন-এর বিষয়টি খতিয়েও দেখেন। কিন্তু, এতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কমছে না। হিলা চা-বাগানের বহু মানুষই ক্ষোভ জানিয়েছেন যে কেন রিপোর্ট আসার আগেই দুই জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল?
এর আগে ১৯ মে জলপাইগুড়িতে এক তরুণীর শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। জলপাইগুড়ির গড়ালবাড়ির বাসিন্দা ওই তরুণী। কলকাতায় একটি বেসরকারি নার্সিং কলেজের ছাত্রী সে। ১১ মে কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরেছিল। ১৩ মে প্রবল সর্দি ও জ্বর নিয়ে জলপাইগুড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সারি হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে তার লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ১৯ মে পরীক্ষার রিপোর্ট আসতেই দেখা যায় সে করোনায় আক্রান্ত। আপাতত জেলার কোভিড হাসপাতালে ওই তরুণীর চিকিৎসা চলছে।