গত অগস্ট থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে মাওবাদীদের নাম উল্লিখিত পোস্টার পাওয়া যাচ্ছিল ৷ ১৫ অগস্ট কালাদিবস পালনের ডাক সহ ৪ সেপ্টেম্বরে ঠিকাদারকে হুমকি দিয়ে মাওবাদীদের নামের পোস্টার পাওয়া গিয়েছে ৷ নতুন করে বেলপাহাড়ির ঢাঙ্গিকুসুম গ্রামে পর্যটকদের কাছ থেকে মাওবাদীরা মোবাইল ছিনতাই করেছে বলে জল্পনা তৈরি হয় শুক্রবার ৷ পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে শনিবার ঝাড়গ্রাম পুলিশ অফিসে বৈঠকে বসেন রাজ্য স্তরের পুলিশ কর্তারা ৷ বৈঠকটিতে ছিলেন ডিজিপি স্বয়ং এছাড়া এডিজি আইবি, এডিজি ওয়েস্টার্ন জোন,আইজি বাঁকুড়া, আইজি এসটিএফ প্রমুখ ৷ বৈঠক সেরে বেলপাহাড়িতে ঢাঙ্গিকুসুম এলাকা পরিদর্শনে যান ডিজি সহ পুলিশ কর্তারা ৷
শনিবার বেলা ১২ টা থেকে ঝাড়গ্রাম পুলিশ সুপারের অফিসের কনফারেন্সে হলে মিটিং শুরু হয়৷ রাজ্য পুলিশের ডিজি শ্রী বীরেন্দ্র রাজ্য স্তরের আরও পুলিশ কর্তা ও গোয়েন্দা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ দু'ঘণ্টার বেশি বৈঠক করে বেলপাহাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন ৷ বেলপাহাড়ির শেষ প্রান্ত ঢাঙ্গিকুসুম এলাকাতে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন ৷ এই ঢাঙীকুসুম এলাকাতেই বৃহস্পতিবার চার পর্যটক বেড়াতে গিয়েছিলেন ৷ তাঁদের থেকেই রটে - ঢাঙ্গিকুসুম গ্রামে জন ছয়েক মাওবাদী তাদের কাছ থেকে মোবাইল নাকি ছাড়িয়ে নিয়েছে ৷ যদিও খড়্গপুরের বাসিন্দা ওই পর্যটক চার যুবক খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশের কাছে মোবাইল হারিয়ে গিয়েছে বলেই লিখিত ডায়েরি করেছে ৷ পুলিশ ঘটনায় মাওবাদী যোগের কথা অস্বীকার করলেও শনিবার ডিজি সহ পুলিশ কর্তারা সেই এলাকা ঘুরে কথা বলেছেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে ৷
প্রসঙ্গত কয়েক দিন ধরে বেলপাহাড়ির বেশ কিছু জায়গায় মাওবাদী দের নাম করে পোষ্টার পড়ছে। এদিন বৈঠকের বিষয়ে পুলিশ কর্তা তথা ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার -অমিত কুমার ভরত রাঠোড় বলেন- ওই যুবকদের বলা তথ্য ভুয়ো ৷ ওদের মোবাইল হারিয়ে গিয়েছিল ৷ মাওবাদী যোগের গল্প মিথ্যা ৷ তবু সবটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷ সেই সাথে মাওবাদী উপদ্রুত ঝাড়গ্রাম এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে ৷