শাহাজাহান আলি, মেদিনীপুর: খুনের চেষ্টা নয় তো? কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে এবার রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক! ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে। তাঁকে উদ্ধার প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়ায় শেষপর্যন্ত স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার হাসপাতালে।
কেউ স্পেশাল ট্রেনে তো কেউ আবার গাড়ি ভাড়া ভিনরাজ্যে থেকে ফিরছেন। এ রাজ্যে কোরায়েন্টাইন সেন্টারের 'অব্য়বস্থা' নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে পরিয়াযী শ্রমিকদের। দিন কয়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরেরই ঘাটালে কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন একজনকে ছোবল মারে বিষধর সাপ। আর এবার রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেল এক পরিযায়ী শ্রমিককে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থেকে নিজের এলাকায় ফেরেন সনাতন সিং নামে ওই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ছিলেন আরও চারজন। করোনা আতঙ্কে কাউকে গ্রামে ঢুকতে দেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই পাঁচজন কেশিয়াড়ি থানার তারাপুরে কুলিয়াড় মাধ্যমিক স্কুলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রাখা হয়। পরিবারের লোকেদের দাবি, শনিবার দুপুরে যখন খাবার দিতে যান, তখন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার সনাতনকে দেখতে পাননি তাঁরা। খোঁজাখুঁজি শুরু হওয়ার পর স্কুলের পিছনে বাথরুমের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সনাতনকে। আহত ব্যক্তির পাশেই আবার মদের ভাঙা বোতল পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কেন? এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত? তাদের উদ্দেশ্যইবা কী? তদন্তে নেমেছে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের নিরাপত্তা নিয়েও।