দক্ষিণবঙ্গে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত জেলাগুলি। তার জেরে অধিকাংশ নদী গুলিতে বেড়েছে নদীর জলস্তর। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের নদীগুলিতেও বিপদসীমার উপর দিয়ে জল বইছে বলে দাবি নদী তীরবর্তী স্থানীয় বাসিন্দাদের। জলের তোড়ে ঘাটালের ঝুমি নদীতে পারাপারের জন্য ব্যবহার করা সাঁকো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তার জেরে সমস্যার এলাকাবাসীরা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে লক্ষণপুরগ্রামে কংসাবতীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন গ্রামে জল ঢুকে যাওয়ার সমস্য়াপর পড়েছেন গ্রামবাসীরা। নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। ধান, পাট, সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিরার ভোরে লক্ষণপুরের এলাকার হঠাৎ করে কংসাবতী নদীর ক্য়ানাল পাড় ভেঙে যায়। এর ফলে নদীর জল ঢুকে প্রায় ১০০ বিঘা জমি জলের তলায় চলে যায়। চাষের ক্ষেত্রে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি, কংসাবতীর ক্যানালপাড়ে কয়েকটি দুর্বল জায়গা রয়েছে। সেকারমে জলের তোড়ে ভেঙে যায় ক্যানাল পাড়।
অন্যদিকে, ঘাটালের ঝুমি নদীর উপর পারাপারের জন্য তৈরি বাঁশের সাঁকো হড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। মনসুকা এলাকায় এই ঘটনার জেরে তীব্র সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, যোগাযোগের একমাত্র এই পথ ছিল বাঁশের সাঁকো। জলের তোড়ে ভেঙে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। ভারী বৃষ্টির জেরে ঘাটাল এলাকায় মোট আটটি সেতু ভেঙেছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।