দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে খুন ব্যবসায়ী, মেচেদা হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ পুলিশের

Published : Feb 27, 2020, 03:45 PM ISTUpdated : Feb 27, 2020, 07:25 PM IST
দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে খুন ব্যবসায়ী, মেচেদা হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ পুলিশের

সংক্ষিপ্ত

খালি ট্রেনে ট্রলি ব্যাগে যুবকের দেহ মেচেদা হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ টাকা লুঠের জন্য খুন ব্যবসায়ীকে অভিযুক্তের সন্ধানে পুলিশ  

নগদ ছয় লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেটাই কাল হল। খুন হয়ে গেলেন এক ব্যবসায়ী। খুন করার পর  দেহটি আবার ট্রলি ব্যাগে ভরে ট্রেনে তুলে দিল দুষ্কৃতীরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মেচেদা হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ করল পুলিশ। অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।    

ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে আটটা। রোজকার মতোই বুধবারও যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর মেচেদা স্টেশনের কারশেডে পৌঁছয় একটি ট্রেন। রাত দশটা নাগাদ যখন ট্রেনটি পরিষ্কার করছিলেন, তখন কামরায় লাল রং-এর একটি ট্রলি ব্যাগ দেখতে পান সাফাইকর্মীরা। খালি ট্রেনে ব্যাগ আবার কোথা থেকে এল? ট্রলিটি খুলতে আঁতকে ওঠেন তাঁরা। দেখা যায়, ব্যাগের ভিতরে দুমড়েৃ-মুচড়ে রাখা হয়েছে যুবকের মৃতদেহ। মৃতের পরনে ছিল সাদা জামা ও ছাই রং-এর প্যান্ট।  খবর দেওয়া হয় আরপিএফ ও জিআরপিকে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেয় রেলপুলিশ।

আরও পড়ুন: ছাত্রীর শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত অধ্যাপকে ছুটি, আন্দোলনকে বেআইনি বললেন উপাচার্য

কিন্তু, মৃত যুবকের পরিচয় কী? কারা তাঁকে এমন নৃশংসভাবে খুন করল? খুনের কারণ কী? তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম হাসান আলি। কলকাতার বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে থাকতেন তিনি। হাসান পেশায় ব্যবসায়ী। ২২ লক্ষ টাকায় দিঘায় একটি হোটেল লিজ নিতে চেয়েছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগে দালাল মারফৎ ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েও দিয়েছিলেন হোটেল মালিককে। তদন্তকারীরা জানিয়েছে, বাকি ছয় লক্ষ টাকা নিয়ে রবিবার কলকাতা থেকে পাঁশকুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল তাঁর। সোমবার দিঘায় গিয়ে রাজু নামে এক যুবকের সঙ্গে দেখা করেন ওই ব্যবসায়ী। রাতে ছেলের সঙ্গে ফোনেও কথা বলেন হাসান। এর কিছুক্ষণ পরে ফোন বন্ধ হয়ে যায়, বাড়ির লোকের আর কোনওভাবেই আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। শেষপর্যন্ত বউবাজার ও পাঁশকুড়া থানায় হাসান আলির নামে মিসিং ডায়েরি করেন পরিবারের লোকেরা। বুধবার মেচেদা স্টেশনে লাগোয়া কারশেডে ট্রেনের কামরায় ট্রলি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্যবসায়ীর দেহ।

আরও পড়ুন: পুরভোটের আগেই নিমতায় অস্ত্র কারখানার হদিশ, গ্রেফতার ২

মৃতের পরিবারের লোকের দাবি, দিঘায় হোটেল লিজ নেওয়ার সঙ্গে চারজন দালাল জড়িত ছিলেন। তাঁদেরই একজন এই রাজু। রাতে তাঁর সঙ্গেই ছিলেন হাসান। পুলিশ সূত্রে খবর, ফোন সুইচ অফ হওয়ার আগে পর্যন্ত দু'জনের টাওয়ার লোকেশন একই জায়গায় ছিল। সুতরাং টাকা লুঠের জন্য়ই যে এই খুন, তা নিয়ে কার্যত নিশ্চিত তদন্তকারীরা। কিন্তু রাজু একাই কি খুন করে দেহটি ট্রলি ব্যাগে ভরে ট্রেনে তুলে নিল? নাকি দালালচক্রের বাকিরাও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত? রাজুর হদিশ মিললেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

PREV
click me!

Recommended Stories

উত্তুরে হাওয়ায় জাঁকিয়ে শীত বঙ্গে, সকালে কুয়াশার সতর্কতা, কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া
কেন যান নি গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে? দেখুন কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়