এই মুহূর্তে কলকাতা পুজোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। উৎসবে মেতে উঠেছে পুরো কলকাতা শহর।বাঙালিরা এমনতেই পুজোতে কলকাতা থাকতেই পছন্দ করে। অন্য দিকে দেখতে গেলে এই পুজোতেই আবার বড় ছুটি পাওয়া যায়। তাই বাইরে ঘুরতে যাওয়ার এইতো সুযোগ।কিন্তু আবার পুরো পুজোটাই মিস হবে,সেটাও তো মেনে নেওয়া যায়না।তাই দ্বিতীয়া-তৃতীয়াতেই অনেকে পুজো দেখা সেরে নেন।তারপরে বাইরে ঘুরতে যান।কলকাতার মেট্রো প্লাজাতে গিয়ে এমনই দুই খুদের সন্ধান মিলল।তারা দুই ভাই , অঙ্কিত জানা ও আকাশ জানা। এপি যে পার্ক স্ট্রিট স্কুলে পড়ে ওরা।প্যান কেক খেতে খেতে তাদের পুজোর প্ল্যানিং জানালো আমাদের সংবাদ মাধ্যমকে। অঙ্কিত ও আকাশ এবার পুজোতে মা-বাবার সাথে জাপান পাড়ি দিচ্ছে। তাই বিদেশ যাওয়ার আগেই পুজো ১তারিখেই পুজো দেখে নেবে ওরা।
মেট্রো প্লাজার তৃতীয় তলায় ফ্যান্সি জুতোর দোকানের সামনে পাওয়া গেল একজন চাকরিজীবী,স্মার্ট বঙ্গ নারীকে।নাম সঙ্গিতা দত্ত বণিক, এসেছেন শ্রীরামপুর থেকে।পুজোর প্ল্যানিং নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই মিষ্টি হেসে জানালেন,পুজোতে তিনি মন ভরে ঘুমোতে চান।পুজোর দোরগোড়ায় এখনও তার বেশিরভাগ পুজোর শপিংটাই বাকি।এবারের পুজোর জন্য তার কেমন জুতো পছন্দ জানতে চাইলে তিনি খুব যুক্তিযুক্ত উত্তর দেন। রোদে পুড়ে যাওয়া পা কে ফর্সা করতে হবে আর সে জন্যই তিনি কিনতে চান,পা ঢাকা কভার সু। সেই সঙ্গে তার পছন্দ ট্র্যাডিশনাল জামাকাপড় আর পেট পুরে বাঙালি খাবার খাওয়া।
গড়িয়াহাট-এর মোড়ে পাওয়া গেল দীপ্তি দাসকে।পুজোর শপিং করে ব্যাগ হাতের ভিতর ঢুকিয়ে কচুরির দোকানে বসে জমিয়ে কচুরি খাচ্ছেন। শাড়ি আর কুর্তি সহ অনেক কিছুই কিনেছেন।আর তার পাশে বসে আছে স্কুল ফেরত ক্লান্স নাইনের এক ছাত্রীকে,নাম দিশা রায়। তার কেনাকাটিও মোটামুটি কমপ্লিট।আর স্কুলের পরীক্ষাও শেষ।তাই পুজোর আনন্দ ইতিমধ্যেই তার চোখেমুখে।