অখন্ড জ্যোতি মানে এমন আলো যা খন্ডিত নয়। অবারিত আলো ঘরে সমৃদ্ধি আনে এবং মায়ের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় এবং ইচ্ছা পূরণ হয়। কথিত আছে যে নবরাত্রির সময় অখন্ড জ্যোতি নিভে যাওয়া অশুভ।
চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে নবরাত্রি উৎসব পালিত হয়। আজ চৈত্র নবরাত্রির তৃতীয় দিন। নবরাত্রির পুরো ৯ দিন ধরে মা দুর্গার নয়টি রূপের পূজা করা হয়। প্রতি বছর নবরাত্রিতে মাতা রাণী একটি বিশেষ বাহনে আসেন, যার একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এ বছর নবরাত্রিতে নৌকায় এসেছেন মাতা রানি। নবরাত্রির সময় মা দুর্গার সামনে অখন্ড জ্যোতি জ্বালানো হয়। জেনে রাখা ভালো যে নবরাত্রির সময় অখন্ড জ্যোতির কিছু নিয়ম আছে। সেই নিয়মগুলো মেনে চললে মাতা রানীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
অখন্ড জ্যোতির গুরুত্ব
বিশ্বাস অনুযায়ী, ঘরে ঘরে কলস স্থাপনের পর অখন্ড জ্যোতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। অখন্ড জ্যোতি মানে এমন আলো যা খন্ডিত নয়। অবারিত আলো ঘরে সমৃদ্ধি আনে এবং মায়ের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় এবং ইচ্ছা পূরণ হয়। কথিত আছে যে নবরাত্রির সময় অখন্ড জ্যোতি নিভে যাওয়া অশুভ। সময়ে সময়ে প্রদীপে তেল ঢালতে হয় এবং বাতাস থেকে রক্ষা করতে হয়।
অখন্ড জ্যোতির নিয়ম
নবরাত্রির সময় অখণ্ড জ্যোতি জ্বালানোর প্রথম নিয়ম হল জ্যোতির যত্ন নেওয়ার জন্য কেউ না কেউ থাকতে হবে। জ্যোতি প্রজ্বলিত মানে মা তোমার ঘরে নয় দিন বসে আছেন। অখন্ড জ্যোতি জ্বালানোর আগে মায়ের পুজো করুন। প্রদীপ জ্বালাতে কলস বা চৌকি ব্যবহার করুন।
আপনি যদি কোনও চৌকির উপর প্রদীপ জ্বালান তবে তার উপর একটি লাল কাপড় বিছিয়ে দিন এবং যদি আপনি কলসের উপরে প্রদীপ জ্বালান তবে তার নীচে গম রাখুন। রক্ষাসূত্র দিয়ে অখন্ড জ্যোতির শিখা করা ঠিক বলে মনে করা হয়। প্রদীপ জ্বালাতে ঘি বা সরষে-তিলের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। অখন্ড জ্যোতি মা দুর্গার ডানদিকে রাখতে হবে। বলা হয়, প্রদীপে সরষের তেল দিলে বাম দিকে রাখতে হবে।
অখন্ড জ্যোতি প্রজ্জ্বলন করার আগে, ভগবান গণেশ, মা দুর্গার পূজা করুন এবং মা দুর্গা মন্ত্র 'ওম জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কৃপালিনী দুর্গা ক্ষমা শিব ধত্রি স্বাহা স্বধা নমোস্তুতে' জপ করুন। অখন্ড জ্যোতিকে বাতাস থেকে সুরক্ষিত রাখুন এবং মনে রাখবেন যে অখন্ড জ্যোতি কোন অবস্থাতেই নয় দিনের জন্য নিভে যাবে না। প্রদীপে ঘি বা তেল কম পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে রাখুন। নয় দিন পর বাতি নিভিয়ে দেবেন না। তাকে নিজে থেকে নিভে যেতে দিন। এই নিয়মে ঘরে অবারিত প্রদীপ জ্বালালে মায়ের আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং ঘরে সমৃদ্ধি আসে।