গীতা পাঠের সময় যদি বা থাকে- কারণ আধুনিক জীবনে সকলেই ব্যস্ত। আর সেই ব্যস্ততার মধ্যে গীতা পাঠ কিছুটা কঠিন। তাই রইল একটি মন্ত্র।
হিন্দু ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হল গীতা। নিয়মিত গীতা পাঠ করলে পুণ্য অর্জন করা যায় বলে হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস। প্রতিদিন যদি গীতা পাঠ করা যায় তাহলে অনেক সমস্যার মোকাবিলা করা যায়। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। কিন্তু গীতা পাঠের সময় যদি বা থাকে- কারণ আধুনিক জীবনে সকলেই ব্যস্ত। আর সেই ব্যস্ততার মধ্যে গীতা পাঠ কিছুটা কঠিন। তাই রইল একটি মন্ত্র। এই মন্ত্র নিয়মিত পাঠ করা গীতা পাঠের সমতুল।
আদৌ দেবকী দেব গর্ভজননং, গোপী গৃহে বদ্রধনম্।
মায়া পূজ নিকাসু তাপ হরং গৌবদ্রধনোধরণম।।
কংসচ্ছেদনং কৌরবাদিহননং, কুন্তীসুপাজালনম।
একদ্ শ্রীমদ্ভগবতং পুরাণ কথিতং শ্রীকৃষ্ণ লীলামৃতম।।
অচ্যুতং কেশবং রামানারায়ণং কৃষ্ণঃ দামোদরং বাসুদেবং হরে।
শ্রীধরং মাধবং গোপিকাবল্লভং জানকী নায়কং রামচন্দ্রং ভজো।।
মন্ত্রের অর্থঃ
এই মন্ত্রের অর্থ হল যে কৃষ্ণ দেবকীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন। গোপী গোয়ালাদের সঙ্গে বড় হন, পুতনা সংহার করেন। গোবর্ধন পর্বত ধারণ, কংস বধ করেন। কুন্তী পুত্র অর্থাৎ পাণ্ডবদের রক্ষা করেন তিনি। কৌরবদের নাশ করেন। এভাবে নিজের ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে নিজের লীনা খেলা দেখান কৃষ্ণ।
মন্ত্র জপের সুবিধেঃ
এটি এক শ্লোকী মন্ত্র। এটি জপ করা শুভ। শাস্ত্র মতে নিয়ম মেনে এই মন্ত্র জপ করলে জীবনে বাধা দূর হয়। সুখ-সুবিধে লাভ করেন। পাপ থেকে মুক্তি পায়। পাশাপাশি সমৃদ্ধি বাড়ে।
এই মন্ত্র জপের নিয়মঃ
এই মন্ত্র জপ করতে সকালে ঘুম থেকে উঠেই জপ করা ভাল। স্নান করে পরিচ্ছন্ন হয়ে তুলসী মালা দিয়ে এই মন্ত্র জপ করা শ্রেয়। দিনের প্রথম বার এই মন্ত্র এই ভাবে পাঠ করতে পারেন। চাইলে ঘরে এখটি ধুপ আর প্রদীপও জ্বালতে পারেন। তুলসী তলায় দাঁড়িয়েও এই মন্ত্র জপ করতে পারেন। দিনের বাকি সময় এই মন্ত্র যেমন ইচ্ছে জপ করতে পারেন। হিন্দু শাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী দিনে পাঁচ বার এই মন্ত্র জপ করলে ভগবান বিষ্ণু আশীর্বাদ করেন। তবে সকাল আর সন্ধ্যায় অবশ্যই এই মন্ত্র জপ করবেন।