বাস্তু অনুসারে, ঘরে রাখা যে কোনও জিনিস সঠিক দিকে এবং সঠিক জায়গায় রাখা উচিত। তবেই আপনি আপনার বাড়ির জন্য সেই ভগবানের সম্পূর্ণ আশীর্বাদ পেতে সক্ষম হবেন।
অনেক মানুষ তাদের বাড়িতে ঈশ্বরের মূর্তি পূজা করতে চান। সিদ্ধি বিনায়কের মূর্তি যেমন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই থাকে, তেমনই প্রত্যেক বাড়ির ঠাকুরের আসনে ভগবান কৃষ্ণের মূর্তি স্থান পায়। অনেকেই বাড়িতে শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি রেখে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা করতে চান। কৃষ্ণের মূর্তিগুলি দেখতে সুন্দর এবং বাড়িতে সৌভাগ্য নিয়ে আসে। জন্মাষ্টমীতে অর্থাৎ কৃষ্ণ জয়ন্তীতে বাড়িতে কৃষ্ণের মূর্তি কিনলে ঘরে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।
বাস্তু অনুসারে, ঘরে রাখা যে কোনও জিনিস সঠিক দিকে এবং সঠিক জায়গায় রাখা উচিত। তবেই আপনি আপনার বাড়ির জন্য সেই ভগবানের সম্পূর্ণ আশীর্বাদ পেতে সক্ষম হবেন। তাই ঘরে কৃষ্ণের মূর্তি রাখার সময় সঠিক দিক, সঠিক স্থান এবং প্রতিমার বস্তুর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাড়িতে ভুল জায়গায় কৃষ্ণের মূর্তি রাখলে সৌভাগ্যের বদলে দুর্ভাগ্য আসে। আসুন এখন কৃষ্ণ মূর্তির কিছু বাস্তু নিয়ম দেখে নেই।
বাড়িতে বা ঘরে যেই ভগবানের মূর্তি রাখা হোক না কেন, সবার আগে দেখতে হবে প্রতিমার উচ্চতা। আর প্রতিমার উচ্চতা বাস্তুতে প্রভাব ফেলে। খেয়াল রাখুন যেন মূর্তিটি চোখের স্তরের সমান মাপে হয়। খুব বেশি উঁচু বা খুব নিচু না হয়।
বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে কৃষ্ণের মূর্তি স্থাপন করতে হবে এবং প্রতিমা পূর্ব বা পশ্চিম দিকে মুখ করে রাখতে হবে। সর্বদা উত্তর দক্ষিণ দিক রাখুন। বাস্তু মতে এমন স্থানকে ভালো মনে করা হয় না। এছাড়াও মনে রাখবেন ঈশ্বরের মূর্তি টয়লেট বা বেডরুমের কাছে রাখা উচিত নয়।
ঘরে কৃষ্ণের মূর্তি রাখার সময় প্রতিমা যেন সঠিক পরিমাণে আলো পায়। তাও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে প্রতিমার ওপর আলো পড়ুক। আপনি যদি মনোযোগ দেন তবে মন্দিরের প্রদীপগুলি কেবল এই দিকেই রাখা হয়। কারণ এই দিকটি ঘরে ইতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে এবং ঘরে শুভ শক্তি আকর্ষণ করে। ফলে ঘরে ধন-সম্পদ ও সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
বুদ্ধের মূর্তির মতো, কৃষ্ণ মূর্তির ধরনও খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার বাড়িতে একটি সন্তান থাকে বা বাড়িতে একটি সন্তানের আশা করছেন, তাহলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি শিশু আকারের মূর্তি রাখা ভাল। তবে আপনি যদি ঘরে ইতিবাচক শক্তি বাড়াতে এবং সম্পদ বাড়াতে চান তবে আপনার একটি বাছুরের সাথে কৃষ্ণের মূর্তি কিনে রাখা উচিত।