শাস্ত্রমতে ভূতচতুর্দশীর দিনে ১৪ শাক খেতে হয়। আর বাড়িতে সন্ধ্যেবেলা দিতে হয় ১৪ প্রদীপ
ঘোর অমাবস্যায় হয় কালীপুজো। আর আগে তিথি হল চতুর্দশী। কালীপুজোর আগের দিনটিকে বলা হয় ভূতচতুর্দশী। জানেন কি এই দিন কেন খাওয়া হয় ১৪ শাক। চলতি বছর ভূত চতুর্দশী ৩০ অক্টোবর, বুধবার। এই দিন দুপুরে ১৪ খাওয়ার রীতি বহু প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। কিন্তু এর কারণ রয়েছে অনেকগুলি।
ভূত চতুর্দশী পালনের কারণ
শাস্ত্রমতে ভূতচতুর্দশীর দিনে ১৪ শাক খেতে হয়। আর বাড়িতে সন্ধ্যেবেলা দিতে হয় ১৪ প্রদীপ। পুরাণ অনুযায়ী এই তিথিতেই শ্রীকৃষ্ণ বধ করেছিলেন নরকাসুরকে। মনে করা হয় নরকাসুররূপী রাজা বলি প্রতিবছর এই দিনটিতে মর্ত্যে নেমে আসেন দেবীর পুজোর জন্য। আর সেই কারণে ভূত চতুর্দশীর পবিত্র তিথি হিসেবে পলন করা হয়। ভূত চতুর্দশীর অপর নাম নরক চতুর্দশী।
১৪ খাওয়ার নিময়ঃ
প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী মনে করা হয় এই একটি দিন স্বর্গ-মর্ত-পাতাল- তিনটির দরজা খোলা থাকা। রাজা বলি আসার কারণেই এই নিয়ম। প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী এই দিন ১৪ রকম শাক খেলে পূর্বপুরুষদের আত্মাকে মুক্তি দেওয়া যায়। আর সেই কারণে ১৪টি প্রদীপ জ্বালতে হয় সন্ধ্যেবেলা।
শাস্ত্র মতে এই দিন ১৪ রকম শাক খেলে বাড়ি থেকে অশুভ শক্তি বিদায় নেয়। প্রাচীন আয়ুর্বেদিক নিয়ম অনুযায়ী ঋতু পরিবর্তনের সময় এটা। ১৪ রকম শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই এই দিনটি ১৪ শাক খাওয়ার নিয়ম।
১৪টি শাক হল-
১। পলতা,২। সর্ষে, ৩। নিমপাতা, ৪। শুশনি শাক, ৫। জয়ন্তী শাক, ৬।ওল শাক, ৭। ৮। ভাটপাতা, ৯। বেতোশাক, ১০। গুলঞ্চ শাক, ১১। শাঞ্চে শাক, ১২। কলমি শাক, ১৩। পালং শাক,১৪। নোটে শাক।
রান্নার নিয়মঃ
প্রত্যেকটি শাক ভাল করে বেছে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। তারপর সেগুলি কেটে রাখুন। কড়াইতে সর্ষের তেল দিন। গরম হলে কয়েক কুঁচি রসুন আর শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। একটু ভাজাভাজা করে কড়াইতে শাক দিন। পরিমাণ মত নুন আর হলুদ দিয়ে ভাজা ভাজা করুন। চাইলে এই রান্নায় পেঁয়াজ দিতেই পারেন।