দেবী দুর্গার ১০ হাতে ১০টি অস্ত্র রয়েছে। এই ১০টি হাতের ১০টি অস্ত্রের আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যাও রয়েছে।
শুধু অসুর নিধন নয়
দেবী দশটি অস্ত্রের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র অসুর নিধনের জন্য নয়। ১০টি অস্ত্রের আলাদা আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে।
ত্রিশূল
ত্রিশূল মানুষের তিন গুণের প্রতীক। সত্ত্ব, রজ তম এই তিন গুণকে ইঙ্গিত করে ত্রিশূলের তিন ফলা। মহাদেশ দেবীকে এই অস্ত্র দিয়েছিলেন।
চক্র
সুদর্শন চক্রের গায়ে ১০৮টি ধারালো ফলা রয়েছে। শাস্ত্র মতে সুদর্শন চক্র ব্রহ্মাণ্ডের প্রতীক এবং দেবীশক্তি তার কেন্দ্রস্থল হিসেবে বর্ণিত। বিষ্ণ দিয়েছিলেন
শঙ্খ
শঙ্খ মাঙ্গলিক কাজ থেকে শুরু করে যুদ্ধারম্ভ সব কাজেই ব্যবহার করা হয়। বরুণ দিয়েছিলেন শঙ্খ। শঙ্খধ্বনীকে ওঙ্কারের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
অগ্নি
মানব সভ্যতার শুরুতেই রয়েছে আগুনের মহিমা। দেবীর হাতে ধরা অগ্নি এক দিকে যেমন অস্ত্র, তেমনই দেবীর শক্তির প্রতীক। অগ্নিদেব দিয়েছিলেন।
তির-ধনুক
ধনুক শক্তির প্রতীক আর তির প্রকাশিত গতিশক্তিকে বোঝায়। দেবীর হাতে এই দুই অস্ত্র তাঁর শক্তিরূপকেই বর্ণনা করে। এটি পবনদেবের দান
বজ্র
বজ্র জাগতিক বন্ধন থেকে চেতনাকে মুক্ত করে। সেদিক থেকে দেখলেও দেবীর বজ্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ইন্দ্রের অস্ত্র বজ্র।
পদ্ম
এটি অস্ত্র নয়। কিন্তু দেবীর হাতে থাকে মানব কল্যাণের জন্য। এটি পূর্ণ চেতনাকে ব্যক্ত করে। ব্রহ্মার দান। অনেকে আবার বলেন দেবীর হাতে থাকে ব্রহ্মার দেওয়া কমন্ডুলু।
খড়গ
পুরাণ মতে, যম এই অস্ত্র দেবীকে দিয়েছিলেন। খড়্গ একাধারে মৃত্যু ও ন্যায়বিচারের প্রতীক।
কুঠার
কুঠার একাধারে নির্মাণ ও ধ্বংসের প্রতীক। কুঠার একটি প্রাণঘাতী অস্ত্রও বটে। বিশ্বকর্মা দিয়েছেন এই অস্ত্র।
গদা
কোনও কোনও দুর্গামূর্তির হাতে থাকে গদা। শাস্ত্র মতে গদা মানুষের মোহকে চূর্ণ করে।
সাপ
দুর্গার হাতে সাপও দেখা যায় কোথাও কোথাও। সাপ কুলকুণ্ডলিনী শক্তির প্রতীক।