প্রাচীন বিশ্বাস কোনও স্থান থেকে নেগেটিভ এনার্জি দূর করার জন্য শাঁখে ফুঁ দিতে হয়। এটি জীবাণু নাশকও।
হিন্দুশাস্ত্রে শঙ্খের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটির অনেক রহস্যও রয়েছে। কৃষ্ণের হাতে থাকে শঙ্খ। হিন্দুশাস্ত্রে যে কোনও শুভকাজে শঙ্খের গুরুত্ব অনেক। তবে শাঁখে ফুঁ দেওয়ার কতগুলি নিয়ম রয়েছে। সেগুলি মেনে ফুঁ দিলে তবেই উপকার পাওয়া যায়।
শঙ্খ
এটি কিন্তু একটি খোলা। হিন্দু পুরাণ ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে গুরুত্ব অনেক। এটি সামুদ্রিক প্রাণীর খোল। এটি পবিত্র ও শুভ বলে মনে করা হয়। ঐশ্বরিক প্রতীক হিসেবেও গণ্য করা হয়। হিন্দু ধর্মে প্রায় প্রতিটি আচারেই শঙ্খের প্রয়োজন হয়।
শঙ্খে ফুঁ দেওয়ার নিয়ম-
প্রাচীন বিশ্বাস কোনও স্থান থেকে নেগেটিভ এনার্জি দূর করার জন্য শাঁখে ফুঁ দিতে হয়। এটি জীবাণু নাশকও। শাঁখে কখনও জোরে ফুঁ দেবেন না। খুব আলতো করে ফুঁ দিন। বুক ভরে নিঃস্বাস নিয়ে তারপরই ফুঁ দিন। তাতে অনেকক্ষণ ধরে শাঁখের আওয়াজ হবে। এটি একটি মহাগাজতিক সুরেলা সংযোগ তৈরি করে। অনেকের বিশ্বাস মহাজাগতিক শক্তি তৈরি করতে পারে।
শাঁখের উপকারিতাঃ
আধ্যাত্মির সূচিঃ শঙ্খে ফুঁ দিলে চারপাশ ও মন শুদ্ধ হয় যায়। পুজোর পরিবেশ তৈরি করে
ইতিবাচক শক্তি- শঙ্খ যে অনুররণ তৈরি করে তা একটি নেতিবাচক শক্তি দূর করে, ইতিবাচক শক্তিকে টেনে আনে। মন ঠান্ডা করে।
স্বাস্থ্য ও সুস্থতা- শঙ্খ ফুঁতে জড়িত গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস ফুসফুসের ক্ষমতা এবং সামগ্রিক শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উৎসাহিত করে, শারীরিক সুস্থতায় অবদান রাখে।
সাংস্কৃতিক ক্ষেত্র- শঙ্খ বাজানোর ঐতিহ্যকে আলিঙ্গন করা ব্যক্তিদের তাদের সাংস্কৃতিক শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত করে। পরিচয় ও স্বত্বের বোধ জাগিয়ে তোলে।
শুভ সূচনা- হিন্দু আচার অনুষ্ঠানে শঙ্খ বাজিয়ে তবেই পবিত্র অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। ইতিবাচক প্রচেষ্টার সূচনার একটি অঙ্গ এটি।