
দেবী দশপ্রহরণধারিনী। সনাতনী মূর্তিতে দেবী রণসাজে সজ্জিতা। দশ হাতে দশ রকমের অস্ত্র। মাতৃ দেবীর আগমনের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। দশ হাতে দশটি অস্ত্র নিয়ে অসুর নিধনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন দেবী দুর্গা। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, মায়ের হাতে ১০টি অস্ত্র থাকে ঠিকই কিন্তু সব অস্ত্র দিয়ে অসুর সংহার করেন না তিনি। এক একটি অস্ত্রের পেছনে রয়েছে এক একটি আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা।
মা দুর্গার ১০ হাতের ১০ অস্ত্রের তাৎপর্য হলো যে প্রতিটি অস্ত্র বিভিন্ন দেব-দেবীর কাছ থেকে প্রাপ্ত এবং সেগুলো মহিষাসুর বধের জন্য ব্যবহৃত হয়, যা আধ্যাত্মিক শক্তি, জ্ঞান, বুদ্ধি ও ইতিবাচকতার প্রতীক।
মা দুর্গার অস্ত্রের তাৎপর্য গুলি জেনে নিন:
* চক্র : বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র ব্রহ্মাণ্ডের প্রতীক এবং এটি সৃষ্টির কেন্দ্রে দেবী দুর্গার অবস্থান নির্দেশ করে।
* ত্রিশূল: শিবের দেওয়া ত্রিশূল তিনটি মৌলিক গুণের (সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ) প্রতিনিধিত্ব করে।
* খড়্গ: এটি জ্ঞান ও বুদ্ধির প্রতীক, যা দিয়ে সব অশুভ শক্তি বিনাশ করা হয়।
* পদ্ম: ব্রহ্মা দুর্গাকে পদ্ম দিয়েছিলেন, যা জ্ঞানের মাধ্যমে মুক্তি বোঝায়।
* শঙ্খ: বরুণের দেওয়া শঙ্খ ইতিবাচক শক্তির প্রতীক।
* বজ্রাস্ত্র: ইন্দ্রের দেওয়া বজ্রাস্ত্র ইতিবাচক শক্তির প্রতীক এবং এর মাধ্যমে অশুভ বিনাশ হয়।
* গদা: যমরাজ কর্তৃক প্রদত্ত এই অস্ত্র, যা বল ও পরাক্রমের প্রতীক।
* তীর ও ধনু: বায়ু বা অন্যান্য দেবতার দেওয়া তীর-ধনুক উদ্দেশ্য পূরণের প্রতীক।
* ঢাল: কুবেরের কাছ থেকে প্রাপ্ত এই ঢাল সুরক্ষা ও আত্মরক্ষার প্রতীক।
* নাগপাশ: এটি নাগদেবতার দেওয়া নাগপাশ, যা বন্ধন এবং মুক্তির প্রতীক।