হোলি ২০২৫: এই বছর হোলি ১৪ মার্চ, শুক্রবার পালিত হবে। হোলি নিয়ে অনেক গল্প আছে যা খুবই মজার, কিন্তু অনেকে শুধু প্রহ্লাদ ও হোলিকার গল্পই জানে।
হোলি কি কথা: প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হোলিকা দহন করা হয় এবং এর পরের দিন অর্থাৎ চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে ধুলোট উৎসব পালিত হয়। ধুলোট উৎসবে লোকেরা একে অপরের গায়ে আবির মাখায় এবং শুভেচ্ছা জানায়। এই বার ধুলোটিকে হোলিও বলা হয়। এই বার হোলি ১৪ মার্চ, শুক্রবার পালিত হবে। হোলি নিয়ে অনেক মজার গল্প আছে। আসুন এই গল্পগুলো সম্পর্কে জানি...
তারকাসুর নামের এক দৈত্য ছিল, যাকে শুধুমাত্র মহাদেবের পুত্রই বধ করতে পারত। কিন্তু মহাদেব দেবী সতীর বিয়োগে ধ্যানে বসেছিলেন। তখন দেবতারা শিবজির ধ্যান ভাঙার জন্য কামদেবের সাহায্য চাইলেন। কামদেব তার প্রেমের তীর দিয়ে শিবজির ধ্যান ভেঙে দিলেন, যার ফলে শিবজি রেগে গিয়ে তার তৃতীয় চোখ খুললেন। শিবজির তৃতীয় চোখের আগুনে কামদেব ভস্ম হয়ে গেলেন। পরে শিবজি কামদেবকে পুনর্জন্মের বর দেন। মহাদেবের তপস্যা ভাঙার খুশিতে দেব-দেবীরা রং দিয়ে উৎসব পালন করেন, যাকে হোলি বলা হয়।
সত্যযুগে রাজা রঘুর রাজ্যে ঢোঁঢ়া নামের এক রাক্ষসী থাকত। সে ছোট বাচ্চাদের মেরে খেত। সে শিবজির থেকে অনেক বর পেয়েছিল, তাই তাকে বধ করা কারও পক্ষেই সম্ভব ছিল না। যখন রাজা রঘু তার পুরোহিতকে ঢুঁঢ়া রাক্ষসীকে মারার উপায় জিজ্ঞাসা করলেন, তখন তিনি বললেন যে ‘বাচ্চাদের খেলাধুলা এবং জোরে আওয়াজ করলে রাক্ষসীর শক্তি কমানো যেতে পারে।’ তখন রাজা রঘু বাচ্চাদের সাহায্যে সেই রাক্ষসীকে বধ করেন। এর পর লোকেরা রং লাগিয়ে আনন্দ করে, তখন থেকেই হোলি উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
প্রাচীনকালে হিরণ্যকশিপু রাক্ষসদের রাজা ছিল। তার পুত্রের নাম প্রহ্লাদ, যে ভগবান বিষ্ণুর পরম ভক্ত ছিল। হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে ভগবান বিষ্ণুর ভক্তি করতে বাধা দেয় কিন্তু সে মানেনি। এটা দেখে হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে যন্ত্রণা দিতে শুরু করে। শেষে হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে মারার জন্য তার বোন হোলিকাকে ডাকে। হোলিকা আগুন থেকে না পোড়ার বর পেয়েছিল। হোলিকা প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে আগুনে বসে। কিন্তু ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় ভক্ত প্রহ্লাদ বেঁচে যায় এবং হোলিকা পুড়ে যায়। তখন থেকেই খারাপের উপর ভালোর জয়ের প্রতীক হিসেবে হোলি পালিত হয়।