
জগন্নাথদেবের রথযাত্রা আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি থেকে শুরু হয় কিন্তু তার আগে জ্যেষ্ঠ পূর্ণিমা থেকে আচার অনুষ্ঠান শুরু হয়। পূর্ণিমার দিনে জগন্নাথদেব, বলরাম, সুভদ্রা মাতা সহস্ত্রস্নান করেন।
১১ জুন ওড়িশার জগন্নাথ পুরিতে স্নান পূর্ণিমা পালিত হবে। এই দিনে মন্দিরে ভক্তদের সামনে জগন্নাথদেব'কে সহস্ত্রস্নান অর্থাৎ ১০৮টি কলসীর জল দিয়ে স্নান করানো হবে। স্নানের জন্য ১০৮টি সোনার কলসীতে জল ভরে, কস্তুরী, জাফরান, চন্দন এবং বিভিন্ন ধরণের ওষুধ মেশানো হবে।
সারা বছর এই দিনে, মন্দিরে নির্মিত সোনার কূপের জল দিয়ে ভগবান জগন্নাথকে স্নান করানো হয়, তাই এটিকে স্নান পূর্ণিমা বলা হয়। মন্দিরের পুরোহিতরা বলেন যে এই কূপে অনেক তীর্থের জল রয়েছে।
এই কূপটি ৪-৫ ফুট প্রশস্ত বর্গাকার কূপ। এই জগন্নাথ মন্দিরটি উঠোনে, দেবী শীতলা এবং তাঁর বাহন সিংহের মূর্তির ঠিক মাঝখানে নির্মিত। পাণ্ড্য রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন নীচের দেয়ালে সোনার ইট স্থাপন করেছিলেন।
ঐতিহ্য অনুসারে, দেবস্নানের পর ভগবান জগন্নাথ জ্বরে আক্রান্ত হন, তাই তিনি যাত্রার আগে দুই দিন নির্জনে থাকেন। তিনি ১১ থেকে ২৫ জুন কাউকে দর্শন দেবেন না।
এই বছর জগন্নাথ রথযাত্রা ২৭ জুন ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে এবং ১০ জুলাই শেষ হবে। বিশ্বজুড়ে মানুষ জগন্নাথ রথযাত্রায় আসেন। বিশ্বাস করা হয় যে এর মাধ্যমে আশ্চর্যজনক পুণ্য লাভ হয়।
পুরীর স্নান যাত্রার সঙ্গে বাংলার ঐতিহ্যবাহী শ্রীরামপুরের মাহেশের (Hooghly Mahesh) প্রাচীন জগন্নাথ দেব। বুধবার সারা দেশের সঙ্গে শ্রীরামপুরের মাহেশের (Mahesh Snan Yatra) মহা সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে।
৬২৯ বছরের প্রাচীন জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা (Mahesh Snan Yatra)। স্নানযাত্রার (Jagannath Snan Yatra) মধ্য দিয়ে রথযাত্রার দিন গোনা শুরু হয়। এদিন সকাল সাতটায় প্রভু জগন্নাথ, বলরাম, এবং সুভদ্রা, কে মূল মন্দিরে গর্ভ গৃহ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে মন্দির সংলগ্ন স্নান পিরি ময়দানের স্নান মন্দিরে। সেখানে সকালেই দেওয়া হয়েছে বাল্য ভোগ এবং করা হবে বিশেষ পুজো।
স্নানযাত্রার দিনে রীতি অনুযায়ী স্নানমঞ্চে ২৮ ঘড়া গঙ্গাজল এবং দেড় মণ দুধ দিয়ে স্নান করানো হয় জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রাকে। মন্দির সংলগ্ন স্নানপিড়ির মাঠে জগন্নাথদেবের স্নানমঞ্চে স্নানযাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই স্নানযাত্রা থেকে রথের শুভ সূচনা শুরু। মনে করা হয়, ওই পরিমাণ দুধ-গঙ্গাজলে স্নান করে।
স্নানযাত্রার দিনে রীতি অনুযায়ী স্নানমঞ্চে ২৮ ঘড়া গঙ্গাজল এবং দেড় মণ দুধ দিয়ে স্নান করানো হয় জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রাকে। মন্দির সংলগ্ন স্নানপিড়ির মাঠে জগন্নাথদেবের স্নানমঞ্চে স্নানযাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই স্নানযাত্রা থেকে রথের শুভ সূচনা শুরু।
মনে করা হয়, ওই পরিমাণ দুধ-গঙ্গাজলে স্নান করে তিন দেবতার জ্বর আসে। মন্দির বন্ধ রেখে সেবা-শুশ্রূষার পর কবিরাজের পাঁচন খেয়ে তাঁরা সুস্থ হন। এইবছর ৬২৯ তম বর্ষে পদার্পন করেছে মাহেশের রথযাত্রা। স্নানযাত্রার পর আগামী ২৭ জুন রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
ওই দিন তিন বিগ্রহ রথে চেপে মাসির বাড়ি র উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। এরপর আগামী ৫ জুলাই উল্টোরথের দিন মাসীর বাড়ি থেকে নিজের গৃহে ফিরে আসবে তিন বিগ্রহ। জগন্নাথ দেব ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানান, এ বছরের মূল আকর্ষণ হচ্ছে অভিষেক উৎসব।
দেশের বিভিন্ন নদ নদী থেকে নিয়ে আসা জল, সুগন্ধী আতর, চন্দন, মহার্ঘ্য দ্রব্য দিয়ে চলবে অভিষেক পর্ব সাজানো হবে অনিন্দ্য সুন্দর পুষ্প বেশে। তারপর বেলা ১২:১০ মিনিটে আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ হাজার হাজার ভক্তের উল্লাস জয় জগন্নাথ ধ্বনিতে হবে প্রভুর স্নান পর্ব।
২৮ ঘরা গঙ্গাজল এবং দেড় মন দুধ দিয়ে স্নান করানো হবে তিন বিগ্রহকে, এবং সারাদিনব্যাপী এই মন্দিরেই এই বিরাজ করবেন জগন্নাথ দেব বলরাম মা সুভদ্রা। এই স্নান মন্দির থেকেই ভক্তদের দর্শন দেবেন