
Jagannath Temple Golden Well Mystery : হিন্দুদের পবিত্র চার ধামের মধ্যে জগন্নাথ ধাম অন্যতম। এই মন্দিরটি ওডিশার পুরীতে অবস্থিত। প্রতি বছর আষাঢ় মাসে এখানে ভগবান জগন্নাথের জাঁকজমকপূর্ণ রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়, যা দেখার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা আসেন। ভগবান জগন্নাথের মন্দির রহস্যে ঘেরা। কিছু রহস্য এমন আছে যা আজও কেউ জানতে পারেনি। জগন্নাথ মন্দিরের কুয়োও এই রহস্যগুলির মধ্যে একটি। জেনে নিন কেন এত বিশেষ জগন্নাথ মন্দিরের এই কুয়ো…
কেন এত বিশেষ জগন্নাথ মন্দিরের এই কুয়ো?
জগন্নাথ মন্দির চত্বরে একটি বিশাল কুয়ো রয়েছে। এই কুয়োটি কে নির্মাণ করেছিলেন, তা কেউ জানে না। এই কুয়োর বিশালতার ধারণা পাওয়া যায় এর ঢাকনার ওজন থেকে, যা প্রায় দেড় থেকে দুই টন। শুধুমাত্র বিশেষ অনুষ্ঠানেই এই কুয়োর ঢাকনা খোলা হয় এবং এর জল ব্যবহার করা হয়।
কেন একে বলা হয় সোনার কুয়ো?
এই কুয়োতে পাণ্ড্য রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন সোনার ইট বসিয়েছিলেন, যা কুয়োর ঢাকনা খুললে আজও স্পষ্ট দেখা যায়। কুয়োতে সোনার ইট থাকায় ভক্তদের মনেও এই কুয়োতে সোনা ফেলার ইচ্ছা জাগে এবং এটি একটি প্রথা হয়ে ওঠে। এই কুয়োর ঢাকনায় একটি ছিদ্র রয়েছে, যার মধ্য দিয়ে ভক্তরা সোনার জিনিসপত্র ফেলে দেন। আজ পর্যন্ত এই কুয়ো থেকে সোনা তোলা হয়নি, তাই কেউ জানে না এতে কত সোনা আছে।
বছরে একবারই খোলে এই কুয়ো
জগন্নাথ মন্দিরের এই সোনার কুয়ো বছরে মাত্র একবার আষাঢ় মাসের পূর্ণিমায় খোলা হয়, একে দেবস্নান পূর্ণিমাও বলা হয়। এই কুয়োর জল দিয়েই ভগবান জগন্নাথকে স্নান করানো হয়। এই কুয়োর তত্ত্বাবধানের জন্য আলাদা ব্যক্তি নিয়োগ করা হয় যাকে সুনা গোসাঁই বলা হয়। এই কুয়ো প্রায় ৪-৫ ফুট চওড়া। কুয়োর ঢাকনা সরাতে ১২ থেকে ১৫ জন লোকের প্রয়োজন হয়।
Disclaimer
এই প্রবন্ধে যে তথ্যগুলি রয়েছে, সেগুলি ধর্মগ্রন্থ, পণ্ডিত এবং জ্যোতিষীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। আমরা কেবল এই তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি মাধ্যম। ব্যবহারকারীরা এই তথ্যগুলিকে কেবল তথ্য হিসাবে বিবেচনা করুন।