কেন লক্ষ্মীপুজোকে কোজাগরী বলে? রয়েছে বিশেষ কারণ! এই নিয়ম না মানলেই ব্যর্থ পুজো

Published : Oct 06, 2025, 10:38 AM IST

বিশ্বাস করা হয় যে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা ছাড়া সুখ শান্তি নেই। একটি ধর্মীয় বিশ্বাস আছে যে বাড়িতে দেবী লক্ষ্মী বাস করেন সেখানে সমৃদ্ধি আসে। কিন্তু দুর্গাপুজোর পরের লক্ষ্মীপুজোকে কেন কোজাগরী বলে? কেনই বা রাত জাগতে হয় এ দিন?

PREV
17

দুর্গাপুজোর পরের লক্ষ্মীপুজোকে কেন কোজাগরী বলে? কেনই বা রাত জাগতে হয় এ দিন? দুর্গাপুজোর ঠিক পরেই বাংলার ঘরে ঘরে পুজো পান ধনদেবী। এমনকী যে যে মণ্ডপে দুর্গাপুজো হয় সেখানেও পূজিত হন লক্ষ্মী। দুর্গাপুজোর ঠিক পরের পূর্ণিমাকে বলা হয় কোজাগরী। কেন এই নামকরণ, জানেন কি সেই তথ্য!

27

যে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পায়, মা তাঁকে ধনী করে তোলেন এবং দেবী লক্ষ্মীর কৃপা পেতে তিনি নানাবিধ ব্যবস্থাও করেন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা ছাড়া সুখ শান্তি নেই। একটি ধর্মীয় বিশ্বাস আছে যে বাড়িতে দেবী লক্ষ্মী বাস করেন সেখানে সমৃদ্ধি আসে।

37

জনশ্রুতি অনুযায়ী, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনই দেবী লক্ষ্মী মর্ত্যে নেমে আসেন। বাড়ির দরজা খোলা থাকলে, প্রদীপের আলোয় ভরা থাকলে ধনদেবী সেখানে প্রবেশ করেন। ‘কোজাগরী’ কথাটি এসেছে ‘কে জাগতী’ থেকে। অর্থাৎ কে জেগে আছ?

47

তাই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন রাত জাগার রীতি আছে, যাতে দেবী এসে ডাকলে দরজা খোলা পান। সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করা হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন যাঁরা রাত জেগে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করেন দেবী তাঁদের দুই হাত ভরে আশীর্বাদ করেন। তাই এই দিনটির এমন নাম এবং এ দিন রাত জাগার প্রচলন আছে।

57

এদিন যার বাড়ির দরজা বন্ধ থাকে, ঘর অন্ধকার থাকে সেখানে দেবী প্রবেশ করতে পারেন না। ফিরে যান আশীর্বাদ না দিয়েই। লক্ষ্মীপুজোর দিন তাই আজও বাংলার ঘরে ঘরে সন্ধ্যার পরই দেবীর আরাধনা শুরু হয়। শোনা যায় কাঁসর, ঘণ্টার শব্দ। গভীর রাত পর্যন্ত চলে ধনদেবীর আরাধনা।

67

লক্ষ্মীপুজোর দিন ঘরে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো শুভ বলে মনে করা হয়। দেবীকে খিচুড়ি সহ নাড়ু, তালের ফোঁপড়া, ইত্যাদি নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়ার রীতি রয়েছে।

77

চলতি বছর ৬ অক্টোবর কোজাগরী পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে, ৭ অক্টোবর সেটি ছেড়ে যাচ্ছে। এই বছর তাই দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার শ্রেষ্ঠ দিন হল ৬ অক্টোবর, সোমবার।

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories