মহাভারতে উল্লিখিত পৌরাণিক কাহিনী, দীপাবলিতে জানুন মা বর্গভীমার অলৌকিক ইতিহাস

Published : Oct 20, 2025, 06:53 PM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

Special Kali Puja: মহাভারতেও বর্ণিত রয়েছে বর্গভীমা মন্দিরের কাহিনী। জানুন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কালীপুজোর ইতিহাস…

Special Kali Puja: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন শহর তাম্রলিপ্ত অধুনা তমলুক। তমলুকের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা মা। পুরানে বর্ণিত ৫১ শক্তি পিঠের অন্যতম এক পিঠ। সতীর বাম পায়ের গোড়ালি অংশ পড়েছিল এই স্থানে। এখানে দেবী ভীমা কালী রূপে পূজিতা। পুরানে কথিত রয়েছে দক্ষযজ্ঞে সতীর দেহত্যাগের পরে তার বাম পায়ের গোড়ালি সুদর্শন চক্রে খন্ডিত হয়ে এই স্থানে এসে পড়ে। এই মন্দিরের উল্লেখ মহাভারতে ও রয়েছে। মহাভারতে উল্লিখিত, তমলুকের ময়ূর বংশীয় তাম্রধ্বজ রাজাই নাকি এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা।

বর্গভীমা কালীপুজোর অজানা ইতিহাসস:- 

জনশ্রুতি আছে, রাজার আদেশে সেই সময় রাজ পরিবারে রোজ জ্যান্ত শোল মাছ দিতে আসতেন এক দরিদ্র ধীবরপত্নী। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা। সারাবছর কী ভাবে জ্যান্ত মাছের জোগান দেন ওই ধীবর পত্নী? এই প্রশ্ন জাগে রাজার মনে। রাজা চেপে ধরতেই গোপন কথা ফাঁস হয়ে যায়। ধীবরপত্নী রাজাকে জানান, জঙ্গলে ঘেরা একটি কূপ থেকে জল ছিটিয়েই রোজ মরা শোলকে জ্যান্ত করে তিনি রাজ দরবারে হাজির করতেন।

ধীবরপত্নীর কথামতো ওই এলাকায় রাজা গিয়ে দেখতে পান উগ্রতারা রূপী দেবী বর্গভীমার মূর্তি। সেখানেই মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন রাজা।মুকুন্দরামের চন্ডীমঙ্গল কাব্যে এবং মার্কণ্ডেও পুরাণে আছে দেবী বর্গভীমার উল্লেখ। তমলুকে অতীতে কোনও শক্তি পুজো হত না। শুধুমাত্র দেবীর বর্গভীমার পুজো হত। কিন্তু একসময় তমলুকে দুর্গা, জগদ্ধাত্রী পাশাপাশি কালীপুজোর প্রচলন শুরুর সময় সমস্যা দেখা দিলে তৎকালীন প্রবীণেরা নিদান দেন পুজো শুরু করার আগে দেবী বর্গভীমা মাকে পুজো দিয়ে অনুমতি নিতে হবে।‌ 

অন্যদিকে, জেলার শ্যামা পুজোয় এবার এক নতুন নজির গড়লো এগরার বস্তিয়া একতা ক্লাবের সার্বজনীন বড়ো মায়ের পুজো। জেলা জুড়ে সর্ববৃহৎ প্রতিমা গড়ে এবারে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এগরার ঐতিহ্যবাহী এই পুজো।

​এগরা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের এই পুজো এবারে ২৮ তম বর্ষে পদার্পণ করলো। বিগত বছরগুলির মতোই এবারেও পুজোয় কিছু না কিছু নতুনত্ব এনে নজর কাড়ার যে ঐতিহ্য বস্তিয়া একতা ক্লাব ধরে রেখেছে, এবারেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিশাল আকারের প্রতিমা দর্শনের জন্য এই পুজোয় প্রচুর মানুষের ভিড় জমবে বলে আশাবাদী ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

​কেবলমাত্র পুজোর জাঁকজমক নয়, বস্তিয়া একতা ক্লাব প্রতি বছরই নানা সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমেও নিজেদের দায়িত্ব পালন করে থাকে। এবারেও পুজোর পাশাপাশি রয়েছে অন্নদান, বস্ত্রদান, রক্তদান শিবির, ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প সহ নানান কর্মসূচি।

​পুজোর সফল আয়োজনের জন্য উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি রায়চাঁদ পয়ড়া, সম্পাদক গণেশ চন্দ্র জানা সহ তাপস মান্না এবং ক্লাবের অন্যান্য সদস্য ও স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা। তাঁদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই পুজো প্রতি বছরই নতুন মাত্রা যোগ করে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

ঠাকুর ঘরে এই দেবদেবীকে একই সঙ্গে রেখেছেন কি? বাস্তু মতে না রাখলে হতে পারে ঘোর বিপদ!
জানেন কী ভগবান বিষ্ণুর কত জন কন্যা, কী তাদের নাম? জানুন এই অজানা তথ্য