
জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে কচ্ছপের আংটি পরলে জীবনে সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। এটি ধন-সম্পদ, দীর্ঘ জীবন এবং ইতিবাচক শক্তি আনার প্রতীক। তবে, এটি পরার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যেমন রূপার আংটি ব্যবহার করা, কচ্ছপের মাথা পরিধানকারীর দিকে রাখা এবং সঠিক আঙুলে পরা, নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
কেবল হিন্দু ধর্ম এবং জ্যোতিষশাস্ত্রেই নয়, ফেং শুইতেও কচ্ছপের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে । এই প্রাণীটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয় । পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান বিষ্ণুর অন্যতম অবতার ছিল কূর্ম অবতার। তাই, কচ্ছপকে ব্রহ্মাণ্ডের রক্ষক ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে যুক্ত করা হয় ।
রাস্তাঘাটে নজর করলে অনেকের হাতেই এই বিশেষ আংটি দেখা যায় । নানা ধাতুর তৈরি কচ্ছপের আকৃতির আংটি । কেউ কেউ বন্ধু বা পরিচিতদের হাতে দেখে সেটিকে ধারণ করেন ৷ কেউ আবার অন্যের পরামর্শ শুনে সেটি আঙুলে পরে ফেলেন । অর্থ ও সৌভাগ্যের কথা ভেবে অনেকেই কচ্ছপের আংটি ধারণ করেন ।
* সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি:
মনে করা হয় কচ্ছপের আংটি পরলে জীবনে সৌভাগ্য, অর্থ ও সমৃদ্ধি আসে।
* স্থিতিশীলতা ও সুরক্ষা:
ফেং শুই অনুসারে, কচ্ছপ দীর্ঘ জীবন, স্থিতিশীলতা এবং সুরক্ষার প্রতীক।
* ধন-সম্পদ বৃদ্ধি:
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী এটি সম্পদ ও সাফল্যের প্রতীক।
* ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ:
আংটিতে কচ্ছপের মাথা পরিধানকারীর দিকে রাখা হলে তা অভ্যন্তরীণ সমৃদ্ধি ও ইতিবাচক শক্তির প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
কখন এবং কিভাবে পরবেন এই আংটি জেনে নিন:
* সঠিক ধাতু:
এই আংটি সাধারণত রূপা বা সোনার মতো ধাতু দিয়ে তৈরি হলে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়।
* সঠিক আঙুল:
পুরুষদের জন্য ডান হাতের মধ্যমা আঙুলে এটি পরার পরামর্শ দেওয়া হয়।
* কচ্ছপের দিক:
কচ্ছপের মাথা অবশ্যই পরিধানকারীর দিকে নির্দেশ করে পরা উচিত, যা অভ্যন্তরীণ ইতিবাচক শক্তি এবং সমৃদ্ধির প্রতীক।
কখন এড়িয়ে চলবেন এই আংটি:
আপনার রাশি হিসাবে পড়বেন।
যেমন জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন রাশির জাতকদের এই আংটি পরা উচিত নয়, কারণ এটি তাদের জন্য শুভ বলে মনে করা হয় না।
এছাড়া সঠিক নিয়ম অনুসরণ না করলে নিয়ম না মেনে আংটি পরলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই সঠিকভাবে নিয়ম জেনে তবেই এই আংটি পরা উচিত।